নিজস্ব প্রতিবেদন: কাটোয়া কলেজের জুওলজি  ডিপার্টমেন্টে টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া কাণ্ডের তদন্ত শুরুর আগেই বিভাগীয় প্রধান নির্ভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করলেন ওই বিভাগের এক অধ্যাপিকা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অধ্যাপিকা ও তার মা কাটোয়া কলেজে এসে অধ্যক্ষ  নির্মলেন্দু সরকারের কাছে নির্ভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যৌনহয়রানি সহ নানাভাবে মানিসিক অত্যচারের কথা  লিখিতভাবে জানান। বিভাগীয় প্রধানের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করার ফলেই অধ্যাপিকাকে নির্ভীকবাবু নানানভাবে মানসিক অত্যাচার করতেন এবং যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ। 

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলেজ অধ্যক্ষকে অধ্যাপিকার মা বলেন “  আমার মেয়ে জুওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নির্ভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লালসার শিকার হয়েছে। প্রায় একবছর ধরে  আমার মেয়েকে  মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছে।  নির্ভীকবাবুর  প্রেমের প্রস্তাবে  আমার মেয়ে রাজি না হওয়ায় তার উপর নানাভাবে মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে। যার ফলে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ডিপার্টমেন্টের অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে আমার মেয়েকে নির্ভীক বাবু  হেনস্থা করাতেন।“


 এখানেই শেষ নয়, সহকর্মী অধ্যাপিকার সঙ্গে যেসব পড়ুয়ারা ভালো সম্পর্ক রাখত তাদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য সহ পরীক্ষায় তাদের নম্বর কমিয়ে দিয়ে তাঁদের কেরিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার মত হুমকিও দিতে জুওলজি বিভাগের প্রধান নির্ভীক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার অডিও ক্লিপিংস আছে বলে দাবি করেছেন সেই নির্যাতিত অধ্যাপিকা।

এছাড়া ডিপার্টমেন্টের রুমেই যৌন হয়রানি কাণ্ড ঘটেছে বলে নির্যাতিতা অধ্যাপিকা অভিযোগ করছেন। কাটোয়া কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার বলেন,  জুওলজি ডিপার্টমেন্টের  এক অধ্যাপিকা ও তার মা বিভাগীয় প্রধান নির্ভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের  বিরুদ্ধে দুটি  অভিযোগ পত্র  জমা দিয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে অধ্যাপিকাকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে কলেজের সিসিটিভ ক্যামেরার সাহায্য নেওয়া হবে।“  নির্যাতিত অধ্যাপিকা দৃঢতার সঙ্গে জানান, তদন্তের সময় তিনি সব প্রমাণ তুলে ধরবেন।

চারদিন আগেই কাটোয়া কলেজের জুওলজি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান নির্ভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন কাটোয়া কলেজের এক ছাত্রী। সেই ছাত্রীর অভিযোগ, " স্যার কলেজে যেখানে সেখানে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা অশ্লীল কথা বলতেন। অশ্লীল ইঙ্গিত করতেন। নোংরা মেসেজ এবং অশ্লীল ভিডিও পাঠাতেন। হমকি দিয়ে বলতেন ওনার খারাপ কাজে সমর্থন না করলে ভালো পরীক্ষা দিলেও Internal পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দেবেন।"


সাতসকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত রাজ্য পুলিশের সিও দেবশ্রী চ্যাটার্জীসহ তিনজন



শুধু শ্লীলতাহানি নয়, দুই সহ শিক্ষককে নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কাটোয়া কলেজের জুওলজি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান নির্ভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। একদিকে সহকর্মী এবং ছাত্রীর করা শ্লীলতাহানির অভিযোগ, সঙ্গে টাকা নিতে বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়া অভিযোগ। জুওলজি বিভাগের প্রধানের বিরুদ্ধে এই দুটি মারাত্মক অভিযোগ বেশ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন কলেজের অধক্ষ্য নির্মলেন্দু সরকার। যদিও দোষী প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।