সাতসকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত রাজ্য পুলিশের সিও দেবশ্রী চ্যাটার্জীসহ তিনজন
সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ ২ নং জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ধাক্কা মারে অফিসারের স্করপিও গাড়ি।
নিজস্ব প্রতিবেদন- সাতসকালেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিনজনের। রাজ্য পুলিসের সিও দেবশ্রী চ্যাটার্জী, তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তাপস বর্মন ও গাড়ির চালক মনোজ সাহার মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ ২ নং জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ধাক্কা মারে অফিসারের স্করপিও গাড়ি। চালক সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আহত তিনজনকেই দাদপুর থানার পুলিশ চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিংসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান হুগলির এস পি তথাগত বসু। হুগলি ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে তিনজনের মৃতদেহ আপাতত রাখা হয়েছে। মৃত তিনজনের পরিবারে লোকদের খবর দেওয়া হয়েছে।
সিটি কলেজ থেকে ভূগোল নিয়ে পাস করার পর ১৯৮৮ সালে ফোর্স জয়েন করেছিলেন দেবশ্রী চ্যাটার্জী। দুবছর ছিলেন পুলিস ট্রেনিং স্কুলে। এরপর লালবাজার ওমেন গ্রিভান্স সেলে ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর পদে। ২০১০ সালে নর্থ পোর্ট থানার ওসি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন প্রথম মহিলা ওসি। যে কোনও পরিস্থিতিতে হার না মানা মনোভাব ছিল তাঁর।১৯৯৬ সালে একবালপুরে পোস্টিং থাকার সময় এক দল লোক একজনের বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে খবর পেয়ে কয়েকজন কনস্টবল নিয়ে সেখানে যান দেবশ্রী। একা সেই অসহায় পরিবারকে রক্ষা করেন। ফোর্স না আসা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
আরও পড়ুন- আমফানের ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে পাকা বাড়ির মালিকও, দুর্নীতির অভিযোগ বীরভূমে
নর্থ পোর্ট থানার ওসি হিসাবে যোগ দেওয়ার আগে ডিটেক্টিভ ডিপার্টমেন্ট-এর ইম্মোরাল ট্রাফিকিং উইং-এর ইনচার্জ ছিলেন। দময়ন্তী সেন সেই সময় জয়েন্ট সিপি ক্রাইম ছিলেন। তার আগে ইকবালপুর থানার এসআই ছিলেন দেবশ্রী চ্যাটার্জী। পার্কস্ট্রিট ও হেয়ার স্ট্রিট থানাতেও দায়িত্ব সামলেছেন। সাইবার ক্রাইম সেল-এও ছিলেন। ২০১২ সালে কলকাতা পুলিশের security control department-এ ট্রান্সফার হয় তাঁর। দেবশ্রী চ্যাটার্জীর ১৮ বছরের ছেলে রয়েছে। দেবশ্রী চ্যাটার্জির মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।