অন্ধকার রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে একটা ফোন রিসিভ করেই কেল্লাফতে!
ফাঁদে পা দিয়ে ফরেষ্ট গার্ডের চাকরির জন্য প্রতারকদের মইনুল প্রথমে ২৫০০০ টাকা দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কপালের জোরে আরও বড় বিপদের হাত থেকে বাঁচলেন জলপাইগুড়ির বাহাদুর অঞ্চলের বাসিন্দা মইনুল হক। ফরেস্ট গার্ডের চাকরি পাওয়ার জন্য ২৫ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে দিয়েছিলেন । দেওয়ার কথা ছিল আরও ৬৬ হাজার টাকা। সেটা নেওয়ার জন্য ফোনও করেছিলেন , কিন্তু ওপারপ্রান্ত থেকে ভেসে এসেছিল একটাই কথা! তাতে কিছুটা সন্দেহ হয়েছিল। এরপর কপাল জোরে দেখা হয়ে গিয়েছিল টাস্ক ফোর্সের প্রধানের সঙ্গেই। তখনই বিষয়টি আরও পরিস্কার হয়ে যায় তাঁর কাছে। বুঝতে পারেন, চাকরি পাওয়ার জন্য টাকা নিয়ে আসলে প্রতারণাচক্রের পাল্লায় পড়েছেন তিনি।
বেশ কিছুদিন ধরে বনদফতরের টাস্ক ফোর্সের কাছে খবর আসছিল চাকরি দেবার নাম করে রাজ্য জুড়ে সক্রিয় একটি প্রতারনার চক্র। যারা আধিকারিকদের সই নকল করে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলছে। এবারে এমনই এক চক্রের হদিস পাওয়া গেল।
আরও পড়ুন: বৌদি যখন অন্তঃসত্ত্বা, তখন দাদার সঙ্গে নিজের বান্ধবীর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ননদ, এরপর...
জলপাইগুড়ি বাহাদুর অঞ্চলের বাসিন্দা মইনুল হক এমনই এক প্রতারনা চক্রের খপ্পরে পড়ে যান। অভিযোগ দমদম ও মালদা থেকে শিলিগুড়ি এসে স্থানীয় এক যুবকের সহায়তায় প্রতারণার জাল বিছানোর কাজ শুরু করেছিল।
ফাঁদে পা দিয়ে ফরেষ্ট গার্ডের চাকরির জন্য প্রতারকদের মইনুল প্রথমে ২৫০০০ টাকা দেন। আবার টেলিফোনে কথামত গতকাল রাতে আরও ৬৬০০০ টাকা নিয়ে ফুলবাড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মইনুল। নির্দিষ্ট সময় পেরোনোর পর দলের কেউ না আসায় তাঁর মনে সন্দেহ হয়।
আরও পড়ুন: স্বামী কালো, তাই সবাইকে ঘুমের ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে বাড়ির পিছনে বসেই আসল কাজ করলেন স্ত্রী!
ওইসময় টাস্কফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন মইনুল তাঁর গাড়ি দাঁড় করিয়ে সব কথা খুলে বলেন। সঞ্জয়বাবু জানান এমন কোনও রিক্রুটমেন্ট হচ্ছে না। এরপরে সব্বাই মিলে প্রতারকদের জন্য অপেক্ষার পর একটি ওলা গাড়ী চেপে ৩ জন আসেন।
টাকা নেওয়ার সময় তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলে টাস্ক ফোর্স। ধৃতদের কাছ থেকে ৬৬০০০টাকা, কনসারভেটার অফ ফরেস্ট এর সই নকল ভুয়ো নিয়োগপত্র উদ্ধার হয়েছে। প্রদীপ ঘোষ, শুভম কুমার ঢালি, বিক্রম সিংহ নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত একটি গাড়ি।