নিজস্ব প্রতিবেদন: শুরু করেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। এবার কেন্দ্র সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা ছাড়লেন উত্তরবঙ্গের ৩ বিধায়ক। এঁরা হলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ, মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন ও ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভোট পরবর্তীকালে রাজ্যের সাধারণ বিজেপির কর্মীদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন লকেট। এবার প্রায় সেই একই সুর শোনা গেল বিজেপির ওই তিন বিধায়কের গলায়।


আরও পড়ুন- টিকানীতিতে 'various flaws'; করোনা টিকাকরণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে কেন্দ্র  


সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কথার সুর টেনে, শিলিগুড়ির(Siliguri) বিধায়ক শংকর ঘোষ জানান, ভোট পরবর্তী হিংসার জেরেই খুন হতে হয়েছে আমাদের বহু কর্মীকে। তারা আমাদের ভোটে জেতানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তারপর গোটা রাজ্যে অশান্তির জেরে তাদেরকে খুন হতে হচ্ছে। যে রাজ্যে সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই সেখানে আমরা কী করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াব?


শংকরবাবু আরও জানান, অনেক ছোট থেকেই স্কুল-কলেজে আমার রাজনৈতিক জীবনের হাতে খড়ি, সেই সময় সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াই। তারপর পৌর কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত স্কুটি নিয়ে ঘুরে বেড়াই। এখন কী করে স্কুটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানদের নিয়ে যাব? সেই সবকিছু বিবেচনা করে এখনো কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার বিষয়টি স্থগিত রেখেছি।


অপরদিকে মাটিগাড়া নকশালবাড়ি(Nakshalbari) কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন জানান, সদ্য সমাপ্ত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে আমার কেন্দ্রে গোটা রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক ১ লক্ষ ৪০ হাজার ভোটে আমি জিতেছি। আমি মনে করি গোটা এলাকার মানুষের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ আমার সঙ্গে রয়েছে। কোথাও কোনো বিপদের সম্ভাবনা হলে এলাকার মানুষই আমাকে নিরাপত্তা দেবে। সামনে জেলায় পঞ্চায়েত ও পৌর ভোট। সেই সময় যদি কোথাও নিরাপত্তার অভাব বোধ করি তখন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কথা ভাবা যাবে।


আরও পড়ুন-টুইটারকে কেন্দ্রের Digital Rules মানতেই হবে, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট


একই বিষয় নিয়ে ডাব গ্রাম ফুলবাড়ীর বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, মানুষ এখানে আমাকে নির্বাচিত করেছে। এলাকায় বিজেপি সমর্থকদের প্রতিনিয়ত মারধর করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদেরকে আমি কোন নিরাপত্তা দিতে পারছি না। আমি মনে করি সার্বিকভাবে আমারও নিরাপত্তা নেওয়া উচিত নয়। যদি কোনো সময় নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় তাহলে এলাকার মানুষই আমাকে নিরাপত্তা দেবে।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)