তিস্তা বুড়ির পুজো সেরে জলপাইগুড়িতে শুরু হল মেচেনী মেলা
কখনও তিস্তার জলচ্ছ্বাসে বাসিন্দাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, কখনও আবার রুখাশুখা রূপ। নদীর এই খাময়কেয়ালিপনার হাত থেকে বাঁচতে প্রতি বছরই তিস্তা বুড়ির পুজো দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তিস্তা বুড়িকে পুজো দিয়ে জলপাইগুড়ি রাজবাড়িতে শুরু হল মেচেনী মেলা। কখনও তিস্তার জলচ্ছ্বাসে বাসিন্দাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, কখনও আবার রুখাশুখা রূপ। নদীর এই খাময়কেয়ালিপনার হাত থেকে বাঁচতে প্রতি বছরই তিস্তা বুড়ির পুজো দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতি বছরই বর্ষার মুখে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষজন তিস্তা বুড়ির পুজো দেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয়মানুষের কাছে এই উৎসব কার্যত মিলন উৎসব।
আরও পড়ুন: প্রার্থীদের বায়োডাটা, তমলুক: দিব্যেন্দুকে বেগ দিতে পারবেন ডাকাবুকো বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ!
পুজো দিয়ে নিয়ম মেনে নিরামিষ খান স্থানীয় মানুষজন, চলে নাচ-গানও। এই লোকগানের নাম মেচেনী গান। তবে আধুনিকতা দাপটে এই ঐতিহ্য হারাতে বসেছিল স্থানীয় মানুষ। নর্থ-ইস্টার্ন ফাউন্ডেশন ফর সোশাল সায়েন্সেস রিসার্চ-এর সদস্যরা এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। জানা গিয়েছে জলপাইগুড়ি ছাড়াও মালবাজার, রাজগঞ, ধুপগুড়ি,মেখলিগঞ্জ ইত্যাদি ব্লক থেকে অনেকেই এখানে অংশগ্রহণ করেন।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক নরেন দাস জানান, তিস্তা নদীতে সারা বছর একই রকম ভাবে জল থাকা ও জীবকুলের মঙ্গলের জন্য এই ধরনের উৎসব যুগ যুগ থেকে চলে আসছে। এই মেলা মিলন মেলা। আগামী দিনে সুস্থ ভাবে বাঁচার উদ্দেশ্য়ে লোকেরা পারিবারিক বিবাদ মিটিয়ে থাকেন এই মেলার মধ্য দিয়ে।