নিজস্ব প্রতিবেদন : ফেক নিউজে মুখ ঢাকছে সোশ্যাল মিডিয়া। অন্ধের মতো বিশ্বাস করছে আমজনতা। তৈরি হচ্ছে জনমত। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাকিং, অপপ্রচার রুখতে সাইবার যুদ্ধে নামছে তৃণমূল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে ইদের ছুটি নিয়ে সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে চরম বিতর্ক ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে তত্পর হয় কলকাতা পুলিসের সাইবার সেল। গুজব ছড়াবেন না এবং গুজবে কান দেবেন না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হয় পুলিস। নিজেদের টুইটারেও ফেক নিউজের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালায় তারা।


শুধু এই ঘটনাই নয়, এর আগে ভোজপুরি একটি ভিডিও ভাইরাল করে দিয়ে আসানসোলের ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আরও একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে অশান্তি ছড়ায় বসিরহাটে। তদন্তে উঠে আসে, সবগুলিই ফেক নিউজ। এবার এই সব ফেক নিউজের মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নামল তৃণমূল।


রাজ্যের প্রতিটি সংসদ আসনের জন্য তৈরি ফেসবুক পেজ। প্রস্তুত তৃণমূলের ডিজিটাল সৈনিকরা। ফেক নিউজ চিহ্নিত করতে ১০ হাজার হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ কাজ শুরু করে দিয়েছে। কোনটি ফেক ভিডিও তা চিহ্নিত করার জন্য বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট এবং টুলস ব্যবহার করছে তৃণমূল। পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের সাইবার সেলে। কোনও ফেক ভিডিও চিহ্নিত হলেই ডিজিটাল ডিরেক্টররা সতর্ক করছেন প্রশাসনকে। সঙ্গে সঙ্গেই তত্পর হয়ে কাজে নামছে পুলিসের সাইবার সেল।


আরও পড়ুন, "কাজ ফেলে ঘোরার সময় নেই", চিন সফর বাতিলে স্পষ্ট জবাব মমতার


যারা এই ধরনের ভিডিও পোস্ট বা শেয়ার করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিস। পুলিসের ফেসবুক বা টুইটার হ্যান্ডলারে তার প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের টুইটার হ্যান্ডলারে সেগুলিই রিটুইট করা হচ্ছে। সচেতনতা বাড়াতে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক পেজ, টুইটার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজ, টুইটার হ্যান্ডলারেও রিটুইট করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ফেক নিউজ বা ফেক ভিডিও সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বেশ কিছু ভিডিও-ও তৈরি করছে তৃণমূল।