Bhangor: ভাঙড়ের কাশীপুরে ১৪৪ ধারা ভেঙে তৃণমূলের কর্মীসভা, ব্যাখ্যা দিলেন আরাবুলপুত্র
সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি বলেন, শুধু আরাবুল কেন, এরকম বহু সভা তৃণমূল করছে। প্রশাসনের কোনও আপত্তি নেই। গত ৩০ জানবুয়ারি আমরা যখন পুলিসকে জানালাম তখনও ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। বলা হল ২-৩ দিন বাদে করুন। কিন্তু তখনও করা হয়নি
প্রসেনজিত্ সরদার: আইএসএফ ও তৃণমূলের সংঘাতের পর ফের বিতর্কে ভাঙ্গড়। এলাকায় উত্তেজনার কথা মাথায় রেখে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার ভাঙড়ের কাশীপুরে সেই ১৪৪ ধারা ভেঙে কর্মীসভা করলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। এভাবে ১৪৪ ধারা বজায় থাকতেও কীভাবে সভা করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিরোধীরা।
আরও পড়ুন-চাকরি দেওয়ার নামে ৫ লাখ টাকা গায়েব! তৃণমূল নেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্টার পড়ল গ্রামে
গতকাল সন্ধে থেকেই ভাঙড়, কাশীপুর-সহ সন্নিহিত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। সেই কাশীপুর থানার চিলেতলা এলাকায় আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে কর্মীসভা করেন। এনিয়ে আরাবুলের ছেলে হাকিমুল ইসলাম বলেন, এটা কোনও কর্মীসভা নয়, বরং এটি একটি চায়ের আড্ডা। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ছোটখাটো একটি আলোচনা সভা করা হয়েছিল।
জেলা প্রশাসন যেখানে কর্মীসভা থেকে জমায়েত নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে সেখানে চা চক্র বা কর্মীসভা কেন? এনিয়ে হাকিমুল ইসলাম বলেন, এই চা চক্রটি আগে থেকেই ঠিক ছিল। কর্মীদের নিয়ে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে, এনিয়ে মুখ খুলেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাদের কর্মসূচি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আরাবুল সভা করেন কীভাবে? এনিয়ে প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া য়ায়নি।
গতকালই নওশাদ সিদ্দিকির মুক্তির দাবিতে মিছিল ও সভা করে আইএসএফ। পরিস্থিতি বুঝে তড়িঘড়ি অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে দেয় প্রশাসন। সেই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি। জমায়েত কর তৃণমূল কংগ্রেস। সেই জমায়েত দেখে কোনওভাবেই চা চক্র বলে মনে হয় না বলে দাবি বিরোধীদের।
এনিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ১৪৪ ধারা বা অন্যকিছু যা-ই জারি হোক না কেন তা সবই বিরোধীদের জন্য। আমরা একটা বাইক মিছিল করতে চাইলে অনুমতি দেওয়া হয় না, মাইক বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয় না। কিন্তু টিএমসি সবই করছে। তাই আইন কানুন সবই বিরোধীদের জন্য। কোনও আইন তৃণমূল মানে না। পুলিস জিজ্ঞাসাও করে না।
সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি বলেন, শুধু আরাবুল কেন, এরকম বহু সভা তৃণমূল করছে। প্রশাসনের কোনও আপত্তি নেই। গত ৩০ জানবুয়ারি আমরা যখন পুলিসকে জানালাম তখনও ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। বলা হল ২-৩ দিন বাদে করুন। কিন্তু তখনও করা হয়নি। যত চোর চোট্টা বোমা বাঁধার লোকই রাজ্য চালাবে? কী ভেবেছে সরকার?