Bankura: চাকরি দেওয়ার নামে ৫ লাখ টাকা গায়েব! তৃণমূল নেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্টার পড়ল গ্রামে
লাল কালিতে লেখা ওই পোস্টার কারা দিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে পোস্টারে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫ লাখ চাকা ফেরত না দেওয়া হলে প্রকাশ্যে মুখ খোলা হবে
মৃত্যুঞ্জয় দাস: চাকরি দেবেন বলে টাকা নিয়েছিলেন। চাকরি তো হয়নি, টাকাও মেলেনি। এদিকে আদেশ চ্যাটার্জি নামে যে তৃণমূল নেতা ৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তিনি এখন বেপাত্তা। তাঁকে খুঁজে বের করতে বাঁকুড়া সদর থানার পাতালখুরি গ্রামে পড়ল পোস্টার। মঙ্গলবার সকাল থেকে সেইসব পোস্টারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজাও।
আরও পড়ুন-পুরো ডিআরএস-কে স্বাগত জানালো মনোজের বঙ্গব্রিগেড
চাকরি দেওয়া নামে করে বিপুল টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা তার মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জনের চাকরি খারিজ হয়েছে। ওইসব কর্মীদের শূন্যপদ পূরণ করা হবে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের দিয়ে।
বাঁকুড়ার পাতালখুরি গ্রামের নেতা তৃণমূল বুথ সভাপতি আদেশ চ্যাটার্জি ও তার ভাই উত্তম চ্যাটার্জিও ছিলেন ভুয়ো গ্রুপ ডি কর্মীদের তালিকায়। স্বভাবতই তাদের চাকরি গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে আদেশ চ্য়াটার্জি টাকা নিয়ে অনেককে গ্রুপ ডিতে চাকরি করে দিয়েছেন। যদিও কাদের চাকরি তিনি টাকা নিয়ে করে দিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। এনিয়েই আদেশ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে গ্রামে।
লাল কালিতে লেখা ওই পোস্টার কারা দিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে পোস্টারে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫ লাখ চাকা ফেরত না দেওয়া হলে প্রকাশ্যে মুখ খোলা হবে। মঙ্গলবার ওই পোস্টার গ্রামবাসীদের নজরে আসতেই তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। পোস্টার পড়তেই আদেশ চ্যাটার্জি ও তার ভাই এখন পলাতক। এনিয়ে আদেশ চ্য়াটার্জির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
ওই পোস্টার নিয়ে বিজেপির দাবি, পোস্টার এখন গ্রামে পড়েছে, এবার আদেশ চ্য়াটার্জির বাড়িতে পড়বে। যারা তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়েছিল তারা এখন টাকা ফেরত চাইছে। তারাই ওই পোস্টার দিয়েছে। ক্রমশ ওইসব লোকজন প্রকাশ্যে আসবে। তবে এনিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, যারা অনৈতিক কাজ করেছে তাদের সেইসব কাজের জন্য দল দায়ী নয়। তবে দল এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে, আদেশের পরিবারের দাবি, এসব রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। রাজনৈতিকভাবে না লড়াই করতে পেরে বদনাম করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা।