নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার মধ্য রাতে লোকসভায় পাস হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill)। আর তারপরই মতুয়া ভোট (Matua Vote) নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছে ঘাসফুল ও পদ্মফুল, দুই শিবিরেই। এনআরসি-র (NRC) বিরোধিতায় মতুয়াদেরকে সামনে রেখে আজ অবস্থানের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘের ব্যানারে সেই ধরনায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু উপস্থিত ছিলেন না সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর নিজেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এদিন ধরনায় বসে মতুয়ারা। কিন্তু, সেই ধরনার কথা কিছুই জানতেন না মমতাবালা ঠাকুর। সংগঠনের সংঘাধিপতি দাবি করেন, আন্দোলন কর্মসূচি তাঁদেরই কিনা, তা তিনি জানেন না। যদিও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য বললেন 'অন্য' কথা। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, "মমতা ঠাকুর অসুস্থ। তাই আজ আসবেন না। উনি আমাদের সঙ্গেই আছেন। উনি কালকে আসবার চেষ্টা  করবেন।"


যদিও আজকের এই ধরনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, "নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill) নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তৃণমূল। আমরাই তো নাগরিকত্ব দিচ্ছি।" প্রসঙ্গত, অমিত শাহের (Amit Shah) লক্ষ্য বাংলার উদ্বাস্তু ভোট। সেদিকে তাকিয়ে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। দলের উদ্যোগে শুরু হয়েছে এনআরসি (NRC) সংক্রান্ত ক্লাসও। এই পরিস্থিতিতে মতুয়া ভোট নিজেদের দিকে টানতে উদ্যোগী তৃণমূলও। শাসকদল দাবি করে, অসমের এনআরসি দেখে আতঙ্কিত এরাজ্যের মতুয়া শিবির। বিজেপির দেশছাড়া করার ষড়যন্ত্র ধরে ফেলেছেন তাঁরা।



বলে রাখি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সঙ্গে মতুয়াদের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। মতুয়া মানে বাংলাদেশ থেকে আসা নমঃশূদ্রদের দীর্ঘদিনের দাবি, এদেশে নাগরিকত্ব পাওয়া। আর সেই জায়গা থেকেই তাদের রাজনীতি। মতুয়াদের এই নাগরিকত্বের দাবিকে দুই শিবিরই ভোটবাক্সে এনক্যাশ করতে চাইছে বলে মত ওয়াকিবহল মহলের। লোকসভা নির্বাচনে এনআরসি-কে হাতিয়ার করে মতুয়াদের প্রভাবিত করে ছিল বিজেপি। এবার সেই এনআরসি-কেই হাতিয়ার করে মতুয়া ভোট পেতে মরিয়া তৃণমূল।


আরও পড়ুন, রাজ্যপাল ইস্যুতে রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট, জগদীপ ধনকড়ের অপসারণ চাইল তৃণমূল


ইতিমধ্যেই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের জন্য আলাদা কমিটি তৈরি করেছে তৃণমূল। সেই কমিটিতে রয়েছেন ২৬ জন। যাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনআরসি-র প্রভাব বোঝাবে। পরিসংখ্যান বলছে, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভা এলাকার মধ্যে ৬ বিধানসভা এলাকাতেই ৪০ শতাংশের বেশি ভোট মতুয়াদের। সারা রাজ্যে আরও প্রায় ৫০-এর বেশি বিধানসভা আসনে মতুয়া ভোটের প্রভাব আছে। মূলত বনগাঁ, নদিয়া, হুগলি, হাওড়ায় মতুয়া ভোট রয়েছে। সূত্রের খবর, ধীর ধীরে সব জায়গাতেই আলাদা কমিটি তৈরি করবে তৃণমূল।