নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত কেশপুর । আহত দুপক্ষের ১০। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুপক্ষের পাঁচ জনকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূলের দাবি,  তাঁদের কর্মীর জমিতে থাকা সেচের পাইপ ফাটিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা, সংঘর্ষ। আহত তৃণমূল কর্মী শেখ লোকিরুদ্দিনের অভিযোগ, শনিবার দুপুরে তাঁর জমিতে থাকা সেচের জল দেওয়ার জন্য ব্যাবহৃত পাইপ ফাটিয়ে দেন বিজেপি কর্মীরা ।  সেই নিয়ে কথা বলতে গেলেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় লাঠি রড দিয়ে। তাকে বাঁচাতে অন্যরা ছুটে এলে তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।


যদিও তৃণমূলের দাবি মানতে নারাজ বিজেপি শিবির। আহত বিজেপি কর্মী ইসরাইল মির্জার অভিযোগ, স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে তাঁদের মারধর করে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। মূলত এলাকায় বিজেপি করার জন্যই তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করে আহত বিজেপি কর্মীরা। অপর আহত বিজেপি কর্মী শেখ শফিকুল ইসলাম তৃণমূল পরিচালিত ক্লাবের ভেতর লাঠি রড বোমা মজুত করার অভিযোগ তুলেছেন।


ঘটনার পর তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জব্বার মল্লিক অবশ্য বিজেপি কর্মীদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। তাঁর দাবি, ঘটনার পিছনে জড়িত ব্যক্তিদর একাংশ দিন কয়েক আগেই বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছে তৃণমূলে। তৃণমূলের পতাকা নিলেও তাঁরা ভেতরে ভেতরে বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন এলাকার তৃণমূল  পঞ্চায়েত সদস্য।

আরও পড়ুন: 'স্বাধীন ভারত অমর রহে' স্লোগান তুলে তীব্র সমালোচনার মুখে দিলীপ


দু পক্ষের তরফেই ইতিমধ্যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কেশপুর থানায়। ঘটনার পর গ্রামে পৌঁছয় পুলিস । গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।