নিজস্ব প্রতিবেদন:  অস্ত্রোপচারেও হল না শেষ রক্ষা।  বীরভূমে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষের মৃত্যু হল।  অস্ত্রোপচার করে তাঁর শরীর থেকে দুটি গুলি বার করা হয়। কিন্তু  তারপর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।  সোমবার দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: মোবাইল-প্রেমের গেরো, কিশোরের কপালে জুটল মায়ের থেকেও বয়সে বড় বউ


রবিবার দুপুরে কাজ সেরে বাড়ি ফেরছিলেন দীপক ঘোষ। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।  সোমবার সকালে অস্ত্রোপচারের পর ২ টি গুলি বার করা সম্ভব হলেও, চিকিত্সকরা জানান আরও একটি গুলি রয়ে গিয়েছে শরীরে।  অস্ত্রোপচারের পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে দীপক ঘোষের।  তাঁর বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সোমবার দুপুরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁরা। 


দীপক ঘোষের খুনের ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিস সুপার কুণাল আগরওয়াল। তবে আটকদের পরিচয় জানায়নি পুলিস। 


আরও পড়ুন: এবার লাভপুর! ফের বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার


অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী বলে পরিচিত দীপকবাবুর প্রতাপ এলাকায় দেখার মতো ছিল। বিভিন্ন সময় নানা আপত্তিকর মন্তব্যও করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। গত জুলাই মাসে কাঁকড়তলা থানা এলাকার বাবুইজোড় গ্রামে এক সভায় স্থানীয় ওসিকে হুমকি দেন তিনি। 


আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢেকে দেওরকে মদ দিলেন বৌদি! তারপর যা করলেন...


বারই প্রথম নয়, আগেও দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়েছেন দীপক ঘোষ। সেবার তাঁর চোখে আঘাত লাগে। স্থানীয়রা বলছেন, খয়রাশোলে তৃনমূলের দুটি গোষ্ঠী আছে। সম্প্রতি খয়রাশোলে দীপক ঘোষের অনুগামী শেখ কালুর দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরণ হয়। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে উড়ে যায় কার্যালয়টি।