বিধান সরকার: বর্তমানকে সঙ্গে নিতে রাজি নন,প্রাক্তনকে দেখা গেল কল্যাণের সঙ্গে পুজো দিতে!গতকাল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়(Kalyan Banerjee) প্রচার গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে(Kanchan Mullick)। শুক্রবার কাঞ্চনকে দেখা না গেলেও  প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে দেখা গেল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে।একসঙ্গে দুজনে পুজোও দেন কোন্নগর শকুন্তলা কালিবাড়িতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Dev| Mamata Banerjee: 'দেব ছেড়ে যেতে চাইলেও ছাড়ব না' সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা...


শুক্রবার মেগা র‍্যালি করে উত্তরপাড়া থেকে মনোনয়ন জমা দিতে চুঁচুড়া রওনা দেন শ্রীরামপুরের তৃনমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। বালিখাল থেকে শুরু করেন মেগা র‍্যালি। সেখান থেকে কোন্নগর শকুন্তলা কালী মন্দিরে এসে পুজো দেন বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপাড়ার প্রাক্তন তৃনমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। প্রবীর ঘোষাল যদিও গত ২০২১ সালে তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। উত্তরপাড়া থেকে প্রার্থীও হন। এবং কাঞ্চন মল্লিকের কাছে পরাজিত হন।


গ্রামের মহিলারা পছন্দ করছে না বলে বৃহস্পতিবার নবগ্রামে ভোট প্রচার গাড়ি থেকে কাঞ্চন মল্লিককে নামিয়ে দেন কল্যাণ। ঘটনার পর আজ কল্যাণের মনোনয়নে দেখা যায়নি কাঞ্চন মল্লিককে। শকুন্তলা কালিবাড়ির পর মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেন কল্যাণ। প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, 'কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তিনবার জিতেছেন। এবারও জিতবেন। আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু, শুধু বন্ধু নন তিনি এক জন আদর্শ সাংসদ। পার্লামেন্টে ভোটে জিতে অনেক জনপ্রতিনিধিকেই আর ময়দানে দেখা যায় না। তার বিপরীত কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি দিন নেই রাত নেই সব সময় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন'।


এবার চাপ মার্জিন বাড়ানোর আর কোনও চাপ নেই, মনোনয়ন জমা দিয়ে বললেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী, চাঁপদানির বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুইন,তার নির্বাচনী এজেন্ট গিরিধারী সাহা। 


আরও পড়ুন- Kanchan Mullick| Kalyan Banerjee: 'গ্রামের মহিলারা ভালো চোখে না দেখলে আমি কেন বিক্ষোভের মুখে পড়লাম না?' প্রশ্ন কাঞ্চনের...


শকুন্তলা কালিবাড়ির পর পুজো দেন মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে। সেখানে পুজো দিয়ে আবার র‍্যালি করে আসেন চাঁপদানি পর্যন্ত। এরপর হুগলি মোড় ভূমি রাজস্ব দপ্তরে অতিরিক্ত জেলা শাসক কুহুক ভূষণ এর কাছে মনোনয়ন জমা দেন কল্যাণ। মনোনয়ন জমা দিয়ে কল্যাণ বলেন,'দেড় লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতব আগেই বলেছি। মানুষ চাইছে সেই ব্যবধান যেন দুই লক্ষের বেশি হয়। এবারের চাপটা মার্জিন বাড়ানোর। আমি পনেরো বছরের সাংসদ। পনেরো বছর ধরে রয়েছি মানুষের সাথে। এই এলাকার জন্য অনেক কাজ করেছি। আমাদের সংগঠন আছে। আমাদের বিধায়ক থেকে শুরু করে সকলেই কাজ করেন। ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে ক্রেজ ছিল তা আবার ২০২৪ সালে রয়েছে। মানুষ মমতার সাথে রয়েছে। সব বিধানসভা থেকেই ব্যবধান বাড়বে।শ্রীরামপুর লোকসভা মিশ্র মানুষের বাস। বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করে। কিন্তু মানুষ এখন সেটা গ্রহণ করছে না।'


প্রসঙ্গত, নিজের প্রচারে বৃহস্পতিবার কাঞ্চন মল্লিককে সঙ্গে নিতে চাননি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। কিন্তু এরপরও শুক্রবার কল্যাণের ব়্যালিতে দেখা মেলেনি কাঞ্চনের। 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)