প্রসেনজিত্ মালাকার : মেয়াদ বাড়েনি বিশ্বভারতীর বিতর্কিত উপচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তীর। কখনও আশ্রমিকদের নিশানা করে, কখনও নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনের জমি বিবাদে জড়িয়ে, কখনও আবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিশ্বভারতীয় প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। গতকাল তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাঁর জায়গায় এসেছেন অধ্যাপক সঞ্জয় মল্লিক। এবার বিদ্যুত্ যেতেই উচ্ছ্বাস দেখা গেল বিশ্বভারতীতে। গতকাল তাঁর নকল মৃতদেহ নিয়ে ঘোরা হয়েছিল শান্তিনিকেতনের বুকে। আজ বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে গঙ্গার জল দিয়ে ধুয়ে শুদ্ধকরণ করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীতে শেষ বিদ্যুৎ জমানা, অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বে কলাভবনের এই অধ্যাপক


একদিকে তারা যেমন গঙ্গার জল দিয়ে ধুয়ে শুদ্ধকরনের কাজ করে অন্যদিকে তেমনি পাশাপাশি শান্তিনিকেতনে কবিগুরু মার্কেটে যে তাদের ধারনা মঞ্চ চলছিল তাও প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল বিশ্বভারতীর তৃণমূলের নেতা গগন সরকার-সহ তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক নরেশ বাউড়ি, তৃণমূলের বিশ্বভারতী ইউনিটের সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য-সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর। এদিন তাঁরা প্রথমে সেন্ট্রাল অফিসের ভেতরে ঢোকেন, তারপর হাঁড়িতে গঙ্গার জল নিয়ে তা সেন্ট্রাল অফিস চত্বরে ছিটিয়ে দেন। এরপরেই সেন্ট্রাল অফিসের ভেতরেই সবুজ আবির খেলার মাতেন তাঁরা।



ওই কর্মসূচির পরে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে জানানো হয়, আশ্রমিক থেকে অধ্যাপক সকল স্তরে মানুষকেই সঙ্গে নিয়ে তাঁরা এই কাজ করেছেন। মূলত গঙ্গার জল দিয়ে শুদ্ধকরণ করা হয়েছে কারণ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি তারা এও বলেন, যেহেতু উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আর নেই সেহেতু তারা কিছুদিন সময় দিয়ে আপাতত ধরনা মঞ্চ তুলে নিচ্ছেন। তবে আগামীতে যদি বিতর্কিত বিশ্বভারতীর সেই ফলক সরিয়ে ফেলা না হয় তাহলে তারা পরবর্তীতে আন্দোলন করবেন।


এদিকে, গঙ্গাজলের পাল্টা গোবরজল। এবার রাষ্ট্রীয় হিন্দু শক্তি সংগঠনের তরফে অনুপম হাজরার ঘোষণা মোতাবেক উপাসনা গৃহের সামনে গোবর জল দিয়ে শুদ্ধকরণ করা হল। গত ৭ তারিখেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরা হঠাৎই পৌঁছেছিলেন তৃণমূলের ধরনা মঞ্চের সামনে।। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন  উপাচার্যের আর মেয়াদ বৃদ্ধি হচ্ছে না। পাশাপাশি উপাচার্যের যাওয়ার পরে বিশ্বভারতীকে গোবর জল দিয়ে শুদ্ধকরণ করা হবে। বৃহস্পতিবার  বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহের সামনে রাষ্ট্রীয় হিন্দু শক্তি সংগঠনের তরফে গোবর জল দিয়ে শুদ্ধকরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি তারা এদিন জানান নরেন্দ্র মোদির সঠিক পদক্ষেপের জন্যই উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধি হয়নি। তাই তারা তাকে ধন্যবাদ জানান, পাশাপাশি তারা দাবি করেন আগামী সময়ে শান্তিনিকেতনবাসী বোলপুরবাসীর জন্য আশা করেন পৌষ মেলা ও বসন্ত উৎসব আবার ফিরে আসবে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)