শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলে `গুলির লড়াই`, মৃত্যু গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির
গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সঞ্জিত সরকার নামে এক তৃণমূল (TMC) কর্মী। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে প্রাণ হারালেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। মৃতের নাম কালিপদ সরকার। এই অভিযোগকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে। যদিও পুলিসের তরফে দাবি করা হয়েছে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে নাকি মৃত্যু হয়েছে কালিপদ সরকারের। সবমিলিয়ে তাঁর মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন কালিপদ সরকার।
জানা গিয়েছে, আজ সকালে গঙ্গারামপুরের শুকদেবপুরে জমি নিয়ে বিবাদ লাগে তৃণমূলের দু' গোষ্ঠীর মধ্য়ে। সেখানে গোলাগুলি চলে বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সঞ্জিত সরকার নামে এক তৃণমূল (TMC) কর্মী। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য মালদায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গুলির লড়াইয়ের পাশাপাশি দু' পক্ষের মধ্যে মারপিটও হয়। তাতেই কালিপদ সরকার জখম হন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চিকিৎসার জন্য গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স। তৃণমূলের অন্দরে, কালিপদ সরকার বিপ্লব অনুগামী বলেই পরিচিত ছিলেন। উল্লেখ্য, পুলিসের তরফে খবর, কালিপদ সরকারের উচ্চ রক্তচাপ এবং হাই সুগার ছিল। সেই কারণে হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই নাকি তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে কালিপদ সরকাররে মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিস।
আরও পড়ুন, ক্যানিং-এ বোমাবাজির ২৪ ঘণ্টা পার, আজও থমথমে এলাকা, আতঙ্কে বাসিন্দারা