ই গোপী: ধর্ষণের 'মিটমাট' করতে এসে গণধর্ষণ! কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলর। প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন নির্যাতিতা। অভিযোগ, সেই ধর্ষণের অভিযোগের মীমাংসা করে দেওয়ার অছিলায় উলটে ওই নির্যাতিতাকে পার্টি অফিসে ডেকে গর্ণধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্ত প্রেমিক ও আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে গণধর্ষণ করে খড়গপুরের ওই তৃণমূল কাউন্সিলর। এমনি মুখ খুললে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। এই ঘটনায় খড়গপুর থানায় অভিযোগ রুজু হয়েছে। এসপি-কে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন নির্যাতিতা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খড়গপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুকেশ হুমনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু পুলিস এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। ন্যক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রেলশহর খড়্গপুরে। মাস তিনেক আগে ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু এতদিন প্রাণভয়ে মুখ খোলেননি নির্যাতিতা তরুণী। এমনকি নিজের বাড়ি থেকেও বেরোননি! অভিযোগ, কাউন্সিলরের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে, 'মুখ খুললেই গুলি করে খুন করে, লাশ গুম করে দেব!' শেষে খড়গ্পুর থানার অভিযোগ দায়ের হতেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। 


পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম অলক কুমার। পাঁচ বছর আগে নির্যাতিতার স্বামীর মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর ওই তরুণী নিজের বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে অরবিন্দের পরিচয় হয়। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ওই যুবতীর সঙ্গে সহবাস করে অলক কুমার। কিন্তু তারপরই বিয়েতে পিছু হটে। এরপরই প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই তরুণী। 


অভিযোগ, এই ঘটনার কথা জানতে পেরে 'মিটমাট' করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন খড়গ্পুর শহরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুকেশ হুমনে। উল্লেখ্য, মুকেশ হুমনে বিজেপি থেকে জিতে তৃণমূলে এসেছেন। ২৫ জুলাই দুপুর ৩টের সময় বড় আয়মার পার্টি অফিসে ডেকে পাঠান ওই তরুণীকে। সেখানে উপস্থিত ছিল অভিযুক্ত প্রেমিক অলক কুমার-ও। এরপর ওই পার্টি অফিসের ভিতরই ৩ জন মিলে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নির্যাতিতা টাউন থানায় এফআইআর দায়ের করলে, পুলিস প্রেমিককে গ্রেফতার করে। কিন্তু মুকেশ ও তাঁর এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ। 


এরপর গত তিন মাস ধরে চুপচাপ হুমকি শুনে যাওয়ার পর, অবশেষে ওই নির্যাতিতা পুরো ঘটনা লিখিত আকারে পুলিস সুপার, অতিরিক্ত পুলিস সুপার ও SDPO- কে চিঠি দেন গত ২১ অক্টোবর। চিঠিতে তৃণমূল কাউন্সিলর মুকেশ হুমনের অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন নির্যাতিতা। তাঁর বক্তব্য, মুকেশ ও তাঁর সহযোগীদের ভয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না! তাঁরা খুনের হুমকি দিচ্ছেন বারে বারে। চাকরির আশ্বাস দিয়ে এক তরুণীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় বৃহস্পতিবারই দাঁইহাটের পুরপ্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এরইমধ্যে দলীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে, চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রেলশহরে! 


আরও পড়ুন, Daihat Municipality: চাকরি দেওয়ার নামে তরুণীকে কুপ্রস্তাব? পুরপ্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ তৃণমূলের


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)