বিধায়ক কলের ব্যবস্থা করলেও `বাধা` কাউন্সিলরের! শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জলকষ্টে এলাকাবাসী
বর্ধমান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের লোকো কলোনি এলাকায় রেল বস্তিতে একটি টিউবওয়েল বসানোর কাজ চলছিল। সেসময় আর পি এফের তরফে কল বসানোর কাজ বন্ধ করা হয় বলে অভিযোগ।
অরূপ লাহা: ফের শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল বর্ধমানে। এবার পানীয় জলের কল বসানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নাম জড়াল খোদ কাউন্সিলরের। বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলর সিমরণ বাল্মিকীর বিরুদ্ধে কল বসানোর কাজ বন্ধ করার অভিযোগ উঠল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন কাউন্সিলর। তাঁর দলেরই এক গোষ্ঠী তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন কাউন্সিলর সিমরণ বাল্মিকী।
বর্ধমান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের লোকো কলোনি এলাকায় রেল বস্তিতে একটি টিউবওয়েল বসানোর কাজ চলছিল। সেসময় আর পি এফের তরফে কল বসানোর কাজ বন্ধ করা হয় বলে অভিযোগ। বস্তির মানুষজন আর পি এফের কাছে কারণ জানতে চাইলে তারা জানান কাউন্সিলর মানা করেছে। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার মানুষজন। তারা কাউন্সিলর সিমরণ বাল্মিকীর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। কাউন্সিলর বেড়িয়ে আসতেই শুরু হয় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বচসা ও বাগবিতণ্ডা।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে তৃণমূল কর্মী পাপ্পু খান বলেন, আমরা কাউন্সিলরের বাড়িতে আসতে তার মা জানান কাউন্সিলর বাড়িতে নেই। অথচ বিক্ষোভ দেখে এক মিনিটের মধ্যেই কাউন্সিলর ঘর থেকে বেড়িয়ে আসেন। এই গরমে বস্তির মানুষ জল পাচ্ছে না। বিধায়ককে বলাতে উনি কলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। অথচ কাউন্সিলর সেই কল বসাতে দিচ্ছেন না। রেল পুলিশ পাঠিয়ে উনি এই কাজ আটকে দিয়েছেন। কাউন্সিলরের হয়ে লড়ে আমরা তাকে ভোটে জিতিয়েছি অথচ উনি আমাদের কাছে এসে কখনো সুবিধা অসুবিধার কথা জানতে চাননি।
স্থানীয় বাসিন্দা রাখি মালিক বলেন, আমাদের এখানে প্রায় দু'শোর মত মানুষ আছে। এখানে প্রচুর জলের কষ্ট। ওনার উচিত ভাল মন্দে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ানো। তা না করে উনি কল বসানো বন্ধ করে দিলেন। এটা কি ওনার ঠিক হলো? উনি আমাদের কাউন্সিলর। ওনার কাছে অভিযোগ জানাতে যাওয়া মাত্র উনি ঝগড়া করতে শুরু করলেন। আমরা চাই উনি এখানে কল বসানোর ব্যবস্থা করুক।
যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের অপর এক গোষ্ঠীর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন কাউন্সিলর সিমরণ বাল্মিকী। তার অভিযোগ এলাকারই এক গোষ্ঠী সর্বদা তার বিরোধিতা করে। কারো নাম না করে তিনি বলেন, কিছু তোলাবাজ আছে যারা এলাকাকে শান্তরূপে দেখতে চাইছে না। তারাও তৃণমূল কর্মী। কোনো ভাল কাজ করতে গেলে সর্বদা তাকে বাধার সম্মুখীন হতে হয় বলে অভিযোগ করেন কাউন্সিলর। পাশাপাশি জলের টিউবওয়েল বসানোর কাজ তিনি বন্ধ করেননি বলেও জানান।
আরও পড়ুন, Asansol: জানলার কাঁচ অর্ধেক নামাতেই গুলি! চালকের আসনে বসেই খুন রাজেন্দ্র