জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে রাজ্যের ৪২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের বেশ কয়েকটি আসন রয়েছে যেখানে দলের কর্মী-সমর্থকদের চমকে দিয়েছে দল। বহরমপুরে মতো আসনে ক্রিকেটার ইরফান পাঠানকে এনে চমক দিয়েছে তৃণমূল। বর্ধমান-দুর্গাপুরে দেওয়া হয়েছে কীর্তি আজাদকে। আবার প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে নুসরত, মিমি, অর্জুন সিং, মৌসম বেনজির নুরকে। এর পাশাপাশি আরও বড় চমক হল, বিষ্ণুপুর কেন্দ্র এবার প্রার্থী করা হয়েছে সুজাতা মণ্ডল খাঁকে। আর ওই কেন্দ্রেই বিজেপির টিকিটে লড়াই করছেন দুবারের সাংসদ ও সুজাতার প্রাক্তন স্বামী সৌমিত্র খাঁ। ফলে এবার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে জমজমাট লড়াই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বাংলার উপরে কেন্দ্রের চাপ মানতে পারেননি, পদত্যাগী নির্বাচন কমিশনারকে স্যালুট মমতার


তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদেওয়া সৌমিত্র খাঁ-র একপ্রকার ভোট ম্য়ানেজার ছিলেন সুজাতা। ২০১৯ সালের সালের লোকসভা নির্বাচনে আইনি জটিলতায় এলাকা ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা ছিল সৌমিত্র খাঁর উপরে। সেই সময় সামনে থেকে ভোট প্রচারে নেমেছিলেন সুজাতা খাঁ। দলের কর্মীদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে প্রচারে বেরিয়ে সৌমিত্র খাঁকে জিতিয়ে এনেছিলেন। তাঁকে জেতাতে সুজাতার যে বড় অবদান রয়েছে তা স্বীকার করেছেন সৌমিত্রও। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই সৌমিত্রর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে সুজাতার। একে অপরের বিরুদ্ধে তোপও দেগেছেন দুজনে। একসময় দুজনে আলাদা থাকতে শুরু করেন। শেষপর্যন্ত ডিভোর্সের মামলা ওঠে আদালতে। ক্রমে তাঁরা আইনত পৃথকও হয়ে যান।


এদিকে, একদিকে যখন সৌমিত্র খাঁর সঙ্গে তাঁর সংঘাত অনেকটাই বাড়ছিল সেইসময় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা খাঁ। তাঁর তৃণমূলে যোগদানের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সেইসময় সুজাতা খাঁ বলেন, যে দলটার বিরুদ্ধে এতদিন লড়াই করেছি সেই দলটায় কেন যোগ দিচ্ছি তা কারণ রয়েছে। যে দলটার জন্য লড়াই করছি তার থেকে একটা আশা থাকবে দিনের শেষে যোগ্য় সম্মানটা পাব। সেটা পাচ্ছি না। মর্যাদা যদি প্রতি মুহূর্তে ক্ষুন্ন হয় তাহলে সেখানে একজন নারী হিসেবে থাকাটা সম্মানের মনে করিনি। তাই সুযোগ সন্ধানী নেতাদের মতো ঝুলে থাকার প্রয়োজনও বোধ করিনি। যে সময় বিজেপি করতে শুরু করেছিলাম। সেই সময় কেউ আশা করিনি যে এই দলটা ২ থেকে ১৮ আসনে চলে যাবে। তখন যখন লড়াই করতে পেরেছি এবারও পারব।  বিষ্ণুপুর আসন বের করে আনার পর দেড় বছর লড়াই করেছি দলের জন্য। কিন্তু দেখলাম লড়াই করছি কিন্তু সম্মানটা নেই। এখন দেখছি যাদের তৃণমূলের পচা আলুরা বিজেপিতে গিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটা কোন যাদু বলে হচ্ছে? সৌমিত্র খাঁ যখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর অমানুষিক অত্যাচার সহ্য করেছি। এতকিছুর পরও লড়াইয়ে যখন বের হতাম তখন মনে হয়নি যে ভুল করছি। এবার ভুল করছি না। বিজেপি যোগ্য় লোককে মর্যাদা দেয় না।


অন্যদিকে, সুজাতা দল ছাড়ার পর আক্ষেপ করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। শুধু তাই নয় সংবাদমাধ্য়মের সামনে আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েছিলেন। সৌমিত্র মন্তব্য করেন, রাজনীতিতে আমার কিছু করতে পারেনি। তার পরিবর্তে আমার স্ত্রীকে চুরি করে নিয়ে গেল। কখনই ভাবিনি আমার ঘরের লক্ষীকে চুরি করে নিয়ে যাবে। সুজাতা আমার কাছে এখন মৃত।  উল্লেখ্য, তৃণমূলে যোগ দিয়ে আরামবাগ বিধানসভা আসন থেকে লড়াইও করেন সুজাতা খাঁ। তবে খুব অল্প ব্যাবধানে হেরে যান। এবার সেই সুজাতাকে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেই লড়াইয়ে নামিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)