নিজস্ব প্রতিবেদন:  ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া হল না রাজ্যসভায় বাম ও কংগ্রেসের প্রার্থী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের। শেষমুহূর্তে বিধিবাম হয়ে দাঁড়ালেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক দীনেশ বাজাজ। পঞ্চম আসনে তৃণমূল-সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিকে শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দেন তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ ও মৌসম বেনজির নুর। রাজ্যসভায় বাংলা থেকে খালি হচ্ছে পাঁচটি আসন। তার মধ্যে চার আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। দীনেশ ত্রিবেদী ও সুব্রত বক্সী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আগেই। আজ জমা দিলেন অর্পিতা ও মৌসম। দুজনেই এর আগে লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১৯ লোকসভা ভোটে হেরে গেলেও রাজ্যসভায় প্রার্থী করে তাঁদের সংসদে পাঠাচ্ছেন মমতা।


বাংলা থেকে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচনে ভোটাভুটি হচ্ছেই। শেষ মুহূর্তে তৃণমূল-সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন দীনেশ বাজাজ। ফলে, বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের পক্ষে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।


এনিয়ে দিনেশ বাজাজ বলেন, নির্দল প্রার্থী হিসেবে রাজ্যসভায় নির্বাচনে লড়াই করব। তৃণমূলে থাকলেও নির্দল হিসেবেই লড়ব। 


আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় হারে ১৫৪% ডিএ পাবেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের কর্মচারীরা


বিজেপির ভোটও তৃণমূল-সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর দিকেই যাওয়ার ইঙ্গিত।  বিকাশ ভট্টাচার্যকে প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল একেবারেই মানতে পারেনি। সেক্ষেত্রে অনেকে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে । দীনেশ বাজাজ অবাঙালি মুখ। আজ সকালে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে দীনেশের কাছে ফোন যায় বলে খবর। তবে বিজেপি কেন রাজ্যসভায় প্রার্থী দিল না, প্রশ্ন উঠছে। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন,”তৃণমূল বা সিপিএম-এর প্রার্থীকে ভোট দেবো না। নির্দল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এর জন্য হাইকমান্ডের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।“


সিপিএম প্রার্থী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, তৃণমূল বিজেপির বোঝাপড়া স্পষ্ট। আমিই আগেও বলেছি। সব বিধায়কদের বলছি গণতন্ত্রের স্বার্থে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিন। সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন, “দীনেশ বাজাজ আসলে বিজেপি প্রস্তাবিত তৃণমূলের প্রার্থী। ক্রস ভোট হলে তৃণমূলের এক দুই তিন নম্বর না বদলে যায়।“