Hanskhali: `ঘরে শুয়ে ছিলাম, হঠাৎ শ্বশুর মুখ চেপে ধর...`,তৃণমূল নেতার `কুকীর্তি` ফাঁস করলেন বৌমা
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা শ্বশুরের দাবি, `ওই মহিলা গত তিন বছর যাবৎ আমাদের বাড়িতে থাকেন না। ছেলের সঙ্গে থাকবে না বলে, ডিভোর্সের জন্য মামলা করেছে। আমি একজন প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। এর পিছনে বিজেপির মদত রয়েছে।`
বিশ্বজিৎ মিত্র: পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন পুত্রবধূ। যদিও তৃণমূল নেতা দাবি, রাজনৈতিক চক্রান্ত। মদত দিচ্ছে বিজেপি। গোটা ঘটনায় হাঁসখালিতে চাঞ্চল্য।
কেবল শ্বশুর নন, স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। নদিয়ার হাঁসখালি থানায় শ্বশুর ও স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। গৃহবধূ জানিয়েছেন, বছর দশেক আগে দেখাশোনা করে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন শ্বশুর, শাশুড়ি এবং স্বামী। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ১৭ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। তবে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের অনুরোধে পুনরায় সংসার করার জন্য ফেরেন।
মহিলার অভিযোগ, গত ২৩ মে দুপুরে শ্বশুর, যিনি রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান, তিনি আচমকাই ঘরে ঢোকে এবং বলপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। কোনওক্রমে ঘর থেকে পালিয়ে যান মহিলা। লোকলজ্জার ভয়ে প্রথমে বিষয়টি কাউকে জানাননি। এরপর মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে আসলে অভিযোগ, তাঁকে মারধর করে স্বামী। গালিগালাজ করে। ভয় দেখায়।
সুবিচার পেতে হাঁসখালি থানায় ওই গৃহবধূ স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। পাল্টা রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, "ওই মহিলা গত তিন বছর যাবৎ আমাদের বাড়িতে থাকেন না। ছেলের সঙ্গে থাকবে না বলে, ডিভোর্সের জন্য মামলা করেছে। আমি একজন প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। এর পিছনে বিজেপির মদত রয়েছে।"
বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, "এ বিষয়ে আমাদের মদত দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই ঘটনা তৃণমূলের যারা নেতৃত্ব স্থানীয়, তাদের দ্বারা বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে। ঘটনাটি দুঃখজনক। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের এটাই রেওয়াজ।"