বরুণ সেনগুপ্ত: কামারহাটিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল? প্রকাশ্য দিনের আলোয় দলেরই এক নেতাকে চপার দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল অন্য এক নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নেতা এখন এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। এনিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। পলাতক অভিযুক্ত যুবক। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তিনি এলাকার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সোনার বুটের দৌড়ে কারা? সঙ্গে জানুন শেষ চারের দুই ম্যাচ কবে, কোথায়, কখন


স্থানীয় সূত্রে খবর, রক্তদান শিবির থেকে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন কামারহাটির তৃণমূল নেতা আলি রাজা। অভিযোগ, কামারহাটির পাঁচমাথার মোড় পার করার পর স্থানীয় কাউন্সিলর আফসানা খাতুনের ছেলে নওয়াজ সিকান্দার চপার নিয়ে চড়াও হয় আলি রাজার উপরে। চপারের এলোপাথাড়ি কোপ দেওয়া হয় রাজাকে। বাইকটিকে ঘিরে ধরে নামিয়ে আনা হয় রাজাকে। তার পরেই ওই চাপারের কোপ। মাথার পেছনে, পিঠে, কোমরে চপারের কোপ লাগে বলে দাবি আলি রাজার স্ত্রীর।


আলি রাজার পরিবার সূত্রে খবর, আলির আঘাত গুরুতর। তাকে বেলঘড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিস। অভিযুক্তের মা ও কাউন্সিলার আফসানা খাতুন বলেছেন, ওই ঘটনার সঙ্গে আমার ছেলে বা অনুগামীদের কোনও সম্পর্ক নেই। অথচ আলি রাজার বক্তব্য আফসানা খাতুনের ছেলে ও তার সাঙ্গপাঙ্গরাই তার উপরে হামলা চালিয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। কারণ একসময় তিনি আফসানা খাতুনের কাছের লোক ছিলেন।  পরবর্তীকালে তিনি আফসানা খাতুনের কাছ থেকে সরে আসেন। তার পর থেকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।


ওই ঘটনা নিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যখন ওই ঘটনা ঘটেছে তার আধ ঘণ্টা আগেও আমাদের একটি রক্তদান শিবিরে আলি রাজা ছিল। ও তৃণণূল কংগ্রেসের অত্যন্ত সক্রিয় একজন নেতা। কামারহাটিতে সবাই ওকে চেনে। ওর বিরুদ্ধে অসমাজিক কাজ করার কোনও অভিযোগ নেই। কে ওকে মেরেছে তা জানি না। পুলিস তদন্ত করছে। ইতিমধ্যেই রাজা নামে একজন গ্রেফতার হয়েছে। যে-ই এটা করুক। পুলিস প্রশাসনকে বলছি, এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিন। কেউ আইনের বাইরে নয়।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)