নিজস্ব প্রতিবেদন:   এবার  তৃণমূল নেতার মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কেশপুরের ওই তৃণমূল নেতাকে জোর করে বলানো হচ্ছে ‘জয় শ্রীরাম’,  ‘বিজেপি জিন্দাবাদ’,  ‘নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ’, ‘অমিত শা জিন্দাবাদ’।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



ভিডিওতে আরও দেখা গিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতাকে চাপ দিয়ে কার্যত স্বীকার করিয়ে নেওয়া হচ্ছে, যে তাঁর  দলের নেতারা অস্ত্র মজুত  করেছেন।  নিগৃহীত তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ বরদলুই হলেন সহসপুরের অঞ্চল সভাপতি।  দিন কয়েক আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ৬ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ বরদলুইকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। এরপরেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয় তার। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে দুই কনস্টেবলকে। এরই মধ্যে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হল তার স্বীকারোক্তি ভিডিও।


যেখানে পরিষ্কার বলতে শোনা  গেছে,  তারাপদ কোয়াড়ি ও শেখ নুরুল নামে দুই তৃনমুল নেতা অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে এলাকায়। ভিডিওতে জেলা পুলিশকে সমস্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিতে দেখা গেছে এই তৃণমূল নেতাকে। 


প্রসঙ্গত, বিশ্বজিৎ বরদলুইয়ের স্ত্রী তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য কাকলি বরদলুই ২০১৪ সালের ২২ শে অক্টোবর খুন হন শ্বশুরবাড়িতে। কেশপুরের জগন্নাথপুরের লোয়াদা গ্রামের বাসিন্দা কাকলি বরদোলুইকে গুলি করে খুন করা হয় তার স্বামীর সামনেই। সেসময়ই কেশপুরের তৃনমূলের অঞ্চল সভাপতি বিশ্বজিৎ বরদলুই। এই খুনের  ঘটনায় তারাপদ কোয়াড়ি, শেখ নরুল সহ ২৬ জনের বিরূদ্ধে  আনন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করে বিশ্বজিৎ বরদোলুইয়ের দাদা হরেন। যদিও অভিযুক্তদের মধ্যে তারাপদ কোয়াড়ি, শেখ নুরুল সহ অনেকেই পরবর্তীকালে যোগ দেয় তৃনমূলে।


রাতে গর্জন, সকালে বড় বড় পায়ের ছাপ! বাঘ আতঙ্কে থরহরিকম্প চন্দ্রকোণা


অন্যদিকে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তাকে বাঁচানোর জন্য বিজেপি নেতা সুদর্শন ঘোষ ও আকাশ দিগার নামে দুই নেতা মোটা অঙ্কের টাকা নেয় বলেও দাবি করেন বিশ্বজিৎ বরদোলুই। চাপের মুখে ১১ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানোর কথাও বলেন তিনি।


ভিডিওতে বিশ্বজিৎ বরদোলুই দাবি করেন, জেলা পুলিশ সুপারের চাপেই তাকে থানায় জিডি করতে হয়। বিজেপি কর্মীরা তাকে তুলে নিয়ে গেলেও তার সঙ্গে কোনও দুর্ব্যবহার বা অত্যাচার করা হয়নি বলে দাবি করেন বিশ্বজিৎ বরদোলুই।


যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিশ্বজিৎ বরদোলুই এর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।  প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি সত্যি কেশপুরে লুকিয়ে রয়েছে অস্ত্রভাণ্ডার নাকি শুধুই চাপের মুখে নতিস্বীকার তৃণমূলের দাপুটে অঞ্চল সভাপতির !