মৃত্যুঞ্জয় দাস: বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী। কাজ হয়নি। তাই বৃদ্ধার ছদ্মবেশে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায়। সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা আশিস দে-র বিরুদ্ধে। তাতেও বেশি কিছু কাজ হয়নি। উল্টো অভিযুক্ত নেতাকে টিকিটও দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ভোট মিটতেই প্রিয়াঙ্কার উপরে হামলার অভিযোগ উঠছিল। তাতেই শেষপর্যন্ত গ্রেফতার হলেন, ওন্দার ওই তৃণমূল নেতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর; প্রস্রাব খাওয়ানোর চেষ্টার অভিযোগ, তোলপাড় গড়বেতা


বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আশিস দে-র তাঁর কাছ থেকে ৯৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন চাকরি দেওয়ার জন্য। এমনটাই অভিযোগ তুলেছিলেন ওন্দা ব্লকের রামসাগর এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী। ওই অভিযোগ নিয়ে তিনি বারবারই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া সোজাসুজি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দলের প্রচারে ওন্দায় অভিষেক সভা করতে গেলে বৃদ্ধার ছদ্মবেশে অভিষেকের সভায় ঢুকে পড়েন প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী। সভার মাঝেই চিত্কার করে অভিষেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেই কথা শুনে প্রশাসনকে এনিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু পদেই বহাল তবিয়তে থেকে যান আশিস দে।


এদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আশিসকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ভোটে হেরে যান আশিস। অভিযোগ, ভোট মিটতেই গত ১২ জুলাই আশিস দে-র নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়  প্রিয়াঙ্কার স্বামী সুব্রত গোস্বামীর উপরে। হামলা থেকে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন প্রিয়াঙ্কাও। ওই ঘটনা নিয়ে সুব্রতবাবু বলেন, ১২ তারিখে বাসস্ট্যান্ডে ফিস্ট হচ্ছিল। খাওয়াদাওয়া প্রায় হয়ে গিয়েছিল। আমরা ৪-৫ জন খেতে বসেছিলাম। তখন আশিস দে, দোলন প্রামাণিক, তাপল কাকিন্দি ও আশিসের ভাইপো মানস দে এসে আমাদের উপরে হামলা চালায়। তখন আমি প্রিয়াঙ্কাকে ফোন করি। বলি, তুমি ওসিকে জানাও। উনি ওসিকে ফোন করে ঘটনাস্থলে আসেন। ওকেও মারধর করা হয়।   


হামলার বিষয়টি গত ১৩ জুলাই লিখিতভাবে ওন্দা থানায় জানান প্রিয়াঙ্কা। এরপরই গতকাল রাতে ওন্দা থানার পুলিস অভিযুক্ত আশিস দে-কে গ্রেফতার করে। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় দোলন প্রামাণিক নামে এক তৃণমূল কর্মীকেও। আজ দুজনকেই বাঁকুড়া আদালতে পেশ করে পুলিস। প্রিয়াঙ্কার পরিবারের দাবি, অবিলম্বে আশিস দে-কে দলের সমস্ত পদ থেকে বহিস্কার করতে হবে। পাশাপাশি আশিসের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে। আশিসের বিরুদ্ধে ৮টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে তাঁর দাবি, গত ১২ জুলাই কোনও হামলার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। ঘটনাস্থলেই ছিলেন না তিনি। সব অভিযোগই মিথ্যে।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)