Video: বেআইনি হোর্ডিং? বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্মীর কলার ধরে থানায় হাজির রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
পুরপ্রধানের কীর্তিতে রাজনৈতিক চাপানতোর তুঙ্গে কোচবিহারে।
দেবজ্যোতি কাহালি: পুর এলাকায় কেন বেআইনিভাবে হোর্ডিং লাগানো হচ্ছে? স্রেফ কলার ধরে নামানো নয়, বিজ্ঞাপন সংস্থার দুই কর্মীকে পুলিসের হাতে তুলে দিলেন খোদ পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ঘটনাস্থল, কোচবিহার।
মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে.... কোচবিহার শহরের বিভিন্ন জায়গায় হোর্ডিং লাগানোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর দাবি, পুরসভার কাছে বিজ্ঞাপন বাবদ বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া রয়েছে বিভিন্ন এজেন্সির। বকেয়া না মেটালে নতুন করে আর হোর্ডিং লাগানো যাবে না। শুধু তাই নয়, পুরসভার কাছে নতুন করে আবেদনও হবে এজেন্সিগুলিকে। এমনকী, কোচবিহার শহরে যাবতীয় হোর্ডিংও খুলে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Siliguri skeleton: আর্বজনার স্তুপে বস্তাবন্দি খুলি, হাড়গোড়! আতঙ্ক শিলিগুড়িতে
এদিকে পুরসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজ্ঞাপনের সংস্থাগুলি। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোচবিহার শহর হোর্ডিং লাগানো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন সুনীতি রোড লাগোয়া এলাকায় একটি লাইট পোস্টে হোর্ডি লাগাচ্ছিলেন শিলিগুড়ি এক বিজ্ঞাপন সংস্থার ২ কর্মী। ঘটনাচক্রে ঠিক তখনই সেখানে হাজির হন খোদ পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তারপর? প্রথমে বিজ্ঞাপন সংস্থার ২ কর্মীকে নিচে নামতে বলেন পুরপ্রধান। তারপর কলার ধরে তাঁদের নিয়ে যান কোতুয়ালি থানায়। ওই ২ জনকে আটক করেছে পুলিস। 'এতদিন পরে ঘুম ভাঙল প্রশাসনের'?, প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা বিরাজ বসু। তাঁর দাবি, 'যত বড় প্রশাসকই হোন না, কারও কলার ধরা যায় না। সেই অধিকার রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নেই। অন্যায় করেছে। আমরা প্রতিবাদ জানাব'।
তখন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৯-র লোকসভা ভোটের গণনার আগের দিন খোদ পুলিস সুপারের সঙ্গে বচসা জড়ান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে পুলিস সুপারের সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যায় তাঁকে। কেন? অভিযোগ, ভোটগণনা কেন্দ্রের বাইরেই ক্যাম্প অফিস তৈরি করছিল তৃণমূল। কিন্তু নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, গণনাকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও ক্যাম্প অফিস করা যাবে না। তাই ক্যাম্প অফিসটি খুলে ফেলতে বলেন কোচবিহার পুলিস সুপার অমিত সিং। কোনওভাবেই ওই জায়গায় ক্যাম্প করা যাবে না বলে, সাফ জানিয়ে দেন পুলিস সুপার। আর তাতেই চটে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।