নিজস্ব প্রতিবেদন : অনুব্র‍ত মন্ডলের গড়ে এবার তৃণমূলে ভাঙনের ইঙ্গিত। পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তৃণমূল নেতা কাজল সাহা। পাশাপাশি ঘাসফুল ছেড়ে তিনি পদ্মফুলে যোগদান করতে পারেন বলেও সূত্রে খবর। দলীয় বিধায়ক তথা বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কাজল সাহা। সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক থাকলে ২০ ডিসেম্বর দলবল নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন কাজলবাবু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক কেরিয়ারে শুরু থেকে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক ছিলেন ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের ঝিকড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহাজং গ্রামের বাসিন্দা কাজল সাহা। ছাত্রাবস্থায় ছাত্র পরিষদ করতেন। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যুব কংগ্রেসের ঝিকড্ডা অঞ্চল সভাপতি হন। সেই সময় ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের যুব সভাপতি ছিলেন প্রয়াত আভাস রায়। এরপর ১৯৯৮ সালে তৃণমূল গঠন হওয়ার দিন থেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গী ছিলেন কাজল সাহা। ওই বছরই পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। এরপর ২০০৮-এ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন। তারপর ২০১৩ থেকে এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। 



তবে বেশ কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল কাজল সাহার! এমনটাই বলছেন ঘনিষ্ঠরা। এরপরই এদিন দলীয় বিধায়ক, ব্লক সভাপতি অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। পদত্যাগ পত্র জমা দেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিডিওর কাছে। কাজলবাবু বলেন, "এখানে নামেই পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। কিন্তু কোনও কাজ করতে দেওয়া হয় না। অভিজিৎবাবুই শেষ কথা। তাই দেখলাম শুধু শুধু পদ আঁকড়ে ধরে রেখে লাভ নেই। পদত্যাগ করলাম। তবে এখনো দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করিনি।" যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলছেন, মুখে না বললেও আগামী ২০ ডিসেম্বর অমিত শাহর শান্তিনিকেতন সফরের দিন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি।


আরও পড়ুন, দুয়ারে সরকার : গ্রামবাসীদের সুবিধার্থে তৃণমূলের পার্টি অফিস তুলে দিয়ে সেখানে হল উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র!


সৈকতের খুনিদের শাস্তির দাবিতে অরন্ধন পড়শিদের, বিজেপির তরফে ৫ লাখ সাহায্য পরিবারকে