শ্রীকান্ত ঠাকুর ও চম্পক দত্ত: দলের নির্দেশ মেনে কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি? পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এবার জেলায় জেলায় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল তৃণমূল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পঞ্চায়েত প্রার্থী হওয়া নিয়ে তৃণমূলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব'। দল যাঁদের টিকিট দিয়েছে তাঁরা যেমন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তেমনিও আবার নির্দল প্রার্থী হিসেবেই ভোটে দাঁড়িয়েছেন বিক্ষুদ্ধরাও! শুধু তাই নয়, অনুগামীরা টিকিট না পাওয়ায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আব্দুল করিম চৌধুরী ও হুমায়ুন কবীরের মতো বিধায়ক। দলের পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন হুগলির বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।


তাহলে? পঞ্চায়েতে যাঁরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সঙ্গে কড়া বার্তা, 'যাঁরা আমাদের এই অনুরোধে সাড়া দেবেন, তাঁদের পাশে আগামী দিনে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু যাঁরা আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করবেন, আগামী দিনে দলের দরজা-জানলা তাঁদের সামনে চিরতরে বন্ধ থাকবে'। 


পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বহিষ্কার করা হল ৭ জন নেতাকে। তালিকায় রয়েছেন ডেবরা ব্লকের দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে অলক আচার্য,  কাকলি মান্ডি ও , মৌসুমী মুড়া প্রামাণিক। সঙ্গে দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের শুভাশিস নায়েক, মৃত্যুঞ্জয় শাসমল-সহ আরও বেশ কয়েকজন।


আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: তৃণমূলের প্রচারে বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী, কারণ জানলে অবাক হবেন


বাদ গেল না দক্ষিণ দিনাজপুরও। দল বিরোধী কাজ ও গোঁজ প্রার্থী দেওয়া অভিযোগে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত ১৯ জন নেতা ও কর্মী! তালিকায় শুধুমাত্র গঙ্গারামপুর ব্লকেরই ৬ জন। জেলার নেতৃত্বের দাবি, এই সব নেতাদের বহিষ্কারের ফলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। বরং সাধারম মানুষের কাছে বার্তা যাবে যে, তৃণমূল কখনই দলবিরোধী কাজ মেনে নেয় না। এবং পঞ্চায়েত ভোটে বহিষ্কৃত নেতাদের জামানয় বাজেয়াপ্ত হবে।



এদিকে পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থীদের হয়ে প্রচারের কথা ঘোষণা করেছেন একাধিক তৃণমূল বিধায়ক। নির্দিষ্ট সময়ের তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্রের খবর তেমনই।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)