কিরণ মান্না: নন্দীগ্রামে স্বস্তি বিজেপির। শুভেন্দু গড়ে ঢেকুটিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ের স্বাদ পেল গেরুয়া শিবির। দিনভর উত্তেজনার মধ্যে ঢেকুটিয়া সমবায় সমিতির ১২ আসনের মধ্যে ১১ আসন দখল করে নিল বিজেপি। একটি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট গ্রহণকে কেন্দ্রে করে আজ সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজিত হয়ে ওঠে ঢেকুটিয়া। হাতহাতি, বচসায় জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। সম্প্রতি নন্দীগ্রামের বেশ কয়েকটি সমবায় সমতিতে বিজেপি হেরে যায় ঢেকুটিয়ার ভোট ছিল বিজেপির পক্ষে এক প্রেস্টিজ ফাইট। গোলমালের জেরে কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধও রাখতে হয়। তৃণমূলের দাবি বাইরে থেকে লোক এনে ভোট লুঠ করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-প্রেমে প্রত্যাখ্যান, তাই প্রেমিকাকে ভয় দেখাতেই বোমা ছুড়েছে আরমানরা!


ঢেকুটিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভ করার পর সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। গোলমাল ঠেকাতে এলাকায় ছুটে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী। গোলমালের জায়গা থেকে সরে যেতে বলা হয় তৃণমূল সমর্থকদের। তৃণমূলের অভিযোগ চণ্ডীপুর সব বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক এনে ভোট করানোর চেষ্টা করছিল বিজেপি। গোলমালের জেরে ৭ জন আহত হন।


ঢেকুটিয়ার গোলমাল নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূল শাসন ক্ষমতায়। পুলিস তাদের। সেখানে বিজেপি বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করাবে এটা বাস্তব নয়। তৃণমূল কংগ্রেস  সন্ত্রস্ত এই কারণেই যে প্রান্তিক মানুষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে। যেখানেই ভোট হোক তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত।


অন্যদিকে, ঢেকুটিয়া সমবায় সমিতির ভোট নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে প্রতি মানুষের সমর্থন এতটাই বেশি যে তাদের বাইরে থেকে লোক আনতে হয় না। গত ১৩ তারিখ দেখেছি কীভাবে অন্য রাজ্য থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে এখানে গুন্ডামি করা হয়েছে। প্রমাণ হল এখানে গণতন্ত্র রয়েছে। মানুষ গণতান্ত্রিক ভাবে এখনও এখানে ভোট দেয়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)