নিজস্ব প্রতিবেদন: সিপিএম বিজেপির ধাঁচে কি এবার হোলটাইমার নিয়োগের পথে তৃণমূল? আগামী ২৯ জুলাই নজরুল মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তলবে এমনই গুঞ্জন তৃণমূলের অন্দরে। লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের কাছে বদলে গিয়েছে দুনিয়া। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। আর তাতেই প্রমাদ গুনেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন ভোট বৈতরণী পার করতে তাই নিয়োগ করেছেন ইলেকশন স্ট্রাটিজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে। তাঁর নিযুক্তির পরই আমূল বদলে গিয়েছে তৃণমূলের হাবভাব। এমনকী আচরণ বদলের ছাপ পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেও। কিন্তু তাতে কি বিজেপিকে রোখা যায়? তাই পালটা সংগঠন তৈরি করতে বুথে বুথে হোল টাইমার নিয়োগের পথে হাঁটতে চলেছে তৃণমূল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



সিপিএম জমানায় প্রায় সর্বত্র হোল টাইমাররাই হয়ে উঠেছিলেন দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। পারিবারিক বিবাদ থেকে প্রশাসনের কাছে পৌঁছনোর আর্জি, সবই জানাতে হতো লাল ব্রিগেডের তৃণমূল স্তরের এই বাহিনীর কাছে। সংগঠিত এই পদ্ধতিতে ৩৪ বছর ক্ষমতার রাশ ধরে রেখেছিল সিপিএম। রাজ্যে খাতা খুলেই সেই পথে হেঁটেছে বিজেপিও। বুথে বুথে সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ করেছে তারা। ফলও মিলেছে হাতে নাতে। বিজেপির লাগাতার জনসংযোগ কর্মসূচির জেরে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। 


আগামী ২৯ জুলাই বেলা ২টোয় নজরুল মঞ্চে সভা ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে সমস্ত জেলা সভাপতি, বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিদের হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গত ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে এই বৈঠকের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। সূত্রের খবর, ওই অনুষ্ঠানেই ঘোষণা হতে পারে হোল টাইমার নিয়োগের সিদ্ধান্ত। পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে প্রায় ৭৭,০০০ বুথ। তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রতি বুথে ৪ জন করে সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে তারা। রাজ্যজুড়ে ৩ লক্ষের বেশি সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে তৃণমূল। 


সূত্রের খবর, বেতনভুক এই কর্মীরা জনসংযোগ রক্ষার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় দলীয় কর্মকাণ্ড প্রচারের দায়িত্ব থাকবে। প্রতি বুথে যে ৪ জন সর্বক্ষণের কর্মী থাকবেন তাদের প্রত্যেকের থাকবে আলাদা আলাদা দায়িত্ব। নিজেদের দায়িত্ব পালন করে তার ছবি ও ভিডিয়ো হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠাতে হবে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর হোল টাইমারদের কাজের সমীক্ষা করবে দল। 


বেহালায় বৃদ্ধা খুনে রংমিস্ত্রির পর এবার গ্রেফতার কাঠমিস্ত্রি


তৃণমূলের একাংশ বলছে, গোটা এই পরিকল্পনা প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত। সৃষ্টিলগ্ন থেকেই গণউন্মাদনায় ভরসা করে বেড়েছে তৃণমূল। সাংগঠনিক কাঠামো তৈরিতে কখনো নজর দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উন্মাদনা কিছুটা থিতু হতেই এখন তার ফল টের পাচ্ছে তারা। এই পরিস্থিতিতে সংগঠন মজবুত করতে ব্যকরণ মেনে এগোতে চাইছে তারা। কিন্তু দেরি হয়ে গিয়েছে কি না, তা বলবে সময়।