নিজস্ব প্রতিবেদন : মালদার সৈয়দপুরে আফরাজুলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় ও কাকলি ঘোষদস্তিদারও। তৃণমূলি মন্ত্রী ও সাংসদরা আফরাজুলের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। নিহত আফরাজুলের স্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বিধবা ভাতার নথি ও রাজ্য সরকারের তরফে তিন লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য। একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবারই মৃতের পরিবারকে ফোন করে আর্থিক সাহায্য ও পরিবারের একজনকে চাকরির আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতের পরিবারকে আলাদা করে ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শোকস্তব্ধ পরিবারের এখন একটাই দাবি, অভিযুক্ত শম্ভুলালের ফাঁসি।


রাজস্থানে লভ জেহাদের বলি হন মালদার বাসিন্দা ৫০ বছরের আফরাজুল। নৃশংসভাবে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে অভিযুক্ত শম্ভুলাল রেজার। তারপর মৃতদেহে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই শিউরে ওঠে সবাই।


আরও পড়ুন, সাড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছে সারদা মায়ের ১৬৫ তম জন্মতিথি


অভিযোগ, কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন রাজস্থান প্রবাসী আফরাজুলের সঙ্গে মিনা রানি নামে এক মহিলার সম্পর্ক ছিল। মিনা রানিকে বিয়ে করেন আফরাজুল। ভিন ধর্মে বিয়ের 'অপরাধ'-এ আফরাজুলকে সবক শেখাতেই নৃশংসভাবে খুন করে শম্ভুলাল রেজার। যদিও ভিনধর্মে বিয়ের অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিয়েছেন আফরাজুলের স্ত্রী ও কন্যা।


অন্যদিকে, রাজস্থান পুলিস সূত্রে খবর, জেরায় হত্যার সঙ্গে লভ জেহাদের যোগের কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শম্ভুলাল। ফলে কী কারণে আফরাজুলকে এমন নৃশংসভাবে খুন করা হল, তার কারণ হাতড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা। এদিকে সংবাদমাধ্যমের কাছে ধৃত শম্ভুলালের দাবি, তার পরিবারকে বার বার খুনের হুমকি দিত আফরাজুল। সেই আক্রোশেই তাঁকে খুন করেছে সে।