পার্থ চৌধুরী: নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে। গ্রেফতার হয়েছেন কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের যুব নেতারা। অভিযোগ উঠছে, পরীক্ষায় ভালো ফল করে নয়,তৃণমূল নেতাদের সুপারিশেই স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে বহু যুবক-যুবতীকে। এরকম এক পরিস্থিতিতে বর্ধমানের এক তৃণমূল বিধায়কের 'সুপারিশপত্র' সামনে এল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কেষ্টর মাথা থেকে এবার উঠল তৃণমূলে হাত! ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শশী পাঁজার


ওই 'সুপারিশপত্র' সঠিক কিনা তা যাচাই করা যায়নি। তবে দেখা যাচ্ছে বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক তাঁর বিধায়কের প্যাডে প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার জন্য 'সুপারিশ' করেছিলেন ১১ জনের নাম। প্রাইমারি স্কুলে চাকরির জন্য সেই 'সুপারিশপত্র' তিনি পাঠিয়েছিলেন তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ওই চিঠি লেখা হয়েছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।



ওই সুপারিশপত্র ছড়িয়ে পড়ার পরই এনিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে জেলা রাজনীতিতে। তবে বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে রাজী নন নিশীথ মালিক। মঙ্গলবার দলের এক কর্মসূচিতে তাঁকে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কিছু জানি না। খোঁজ খবর নিয়ে বলতে পারব।


এদিকে, ওই সুপারিশপত্র নিয়ে সুর চড়িয়েছে জেলা বিজেপি। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, তৃণমূল সরকারের আমলে যে দুর্নীতি হয়েছে তা গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বড় নিয়োগ দুর্নীতি। এক সময়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের যে গর্ব ছিল তা এরা মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। তারই একটি নিদর্শন হিসেবে উত্তর বিধায়ক নিশীথ মালিক একটি লেটার হেড সামনে এসেছে। সেই চিঠিতে ১১ জনের নামে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করছিলেন। ওদের নাম কেন তিনি সুপারিশ করেছিলেন তা আমরা বিজেপির তরফ থেকে জানতে চাই। কত টাকার বিনিময়ে ওইসব লোকজনের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল তা সাধারণ মানুষ জানতে চায়। কারা মেধাবী যুবকদের ভবিষ্যত নষ্ট করল তা মানুষের জানা উচিত। তদন্তকারীরা এদের যাতে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে তা আমরা আশা করব।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)