মনোজ মণ্ডল: প্রচারে বেরিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন নারায়ণবাবু। সেখানেই তিনি বলেন, ফেরিওয়ালার মতো কাজ করছেন তৃণণূল কর্মীরা। কিন্তু মানুষের কাছে বলতে লজ্জা পাচ্ছেন। লজ্জা পেলে চলবে না, মানুষকে তৃণমূলের কথা বলতে হবে। নায়ারাণ গোষামীর ওই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কংগ্রেসের ভোট আমাদের দিকে শিফট হয় না, জোট নিয়ে এবার বিস্ফোরক ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা


কী বলেন নারায়ণ? তৃণমূল বিধায়ক বলেন, আমরা তৃণমূল বিধায়ক। মানে, আমরা ফেরিওয়ালা। কিন্তু মানুষের কাছে গিয়ে তৃণমূলের কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছি। লজ্জা পেলে চলবে না। ধরুন একটা ট্রেনে একজন বাদামওয়ালা। সে ট্রেনের কামরা গিয়ে বলবে বাদাম চাই বাদাম। আর তা যদি না বলে তাহলে? আমরা তৃণমূল কর্মী। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলতে পাচ্ছি না যে তৃণমূলকে ভোট দিন।


তৃণমূল বিধায়কের ওই কথায় প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, তাহলে কি তৃণমূলের কর্মীরাই দলের হয়ে ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছে? গতকাল হাবড়ার রাজীবপুর বিড়া পঞ্চাতের অনন্তপাড়ায় এক নির্বাচতনী সভায় গিয়ে ওই মন্তব্য করেন নারায়ণ গোস্বামী। এনিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নারায়ণবাবু বলেন, দলের একটি ছোট অংশ হলেও কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যেই একথা বলা হয়েছে। কর্মীদের উজ্জিবীত করতে এমন কথা মাঝেমধে বলতে হয়। তৃণমূল কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলে তো বটেই তা না হলে তৃণমূল এত ভোটে জেতে কীভাবে? এখন কর্মীরা যাতে লজ্জা না পায় তার জন্যই বলা।


কর্মীদের উজ্জবীত করতে গিয়েই এমন কথা বলতে হয়। এমনটাই ব্যাখ্যা বিধায়কের। এনিয়ে দলের শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, এটা কোনও ব্যাপার নয়। আমরা তৃণমূল সম্মানের সঙ্গে করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছি এটা আমাদের অহংকার। কে কী বলেছে জানি না। তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ নিয়ে চলা। আমি ছোটবেলা থেকে সেই আদর্শ নিয়ে চলছি। আমি বিশ্বাস করি নারায়ণও সেই আদর্শ নিয়েই চলে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)