Idris Ali: পঞ্চায়েতের পদ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ লাখে, বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের
Idris Ali: ইদ্রিশের ওই মন্তব্য নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অস্বস্তি বেড়েছে। কারণ ব্লক সভাপতিরা লাখ লাখ টাকা নিয়ে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন। উপর থেকে পাঠানো নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে নিচুতলায়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। তাঁর দাবি, 'ফেলো কড়ি, পাও পঞ্চায়েতের পদ', এমনটাই চলছে দলে। তিরিশ থেকে চল্লিশ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পঞ্চায়েতের পদ। এমনই দাবি ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়কের। কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসন বন্টন নিয়ে দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এবার ইদ্রিশ আলি।
আরও পড়ুন-পুজোর আগেই সুখবর! ৪ শতাংশ বাড়তে পারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ
ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একেবারে টাকা নিয়ে পদ দেওয়া অভিযোগ তুললেন হুমায়ুন। সংবাদমাধ্যমে ইদ্রিশ আলি বলেন, দলের উপরতলা থেকে নাম আসে। বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি মিলে আমরা নাম ঠিক করে দিই কে কোন পদ পাবেন। হঠাত্ দেখা গেল যে কর্মাধক্ষ্যের নাম বদলে গিয়েছে। অভিযোগ আসছে, এসব টাকার বিনিময়ে হচ্ছে। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে কড়া পদক্ষেপ করে চলছেন। দোষীদের শাস্তি হচ্ছে, প্রধানদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি যারা এভাবে পদ পেয়েছেন তাদের সরিয়ে দেওয়া দরকার। এনিয়ে আমি লিখিত অভিযোগও করেছে। বলেছি, দোষীদের খুঁজে বের করা হোক। কাদের প্রশ্রয়ে নাম নামগুলো বদলে ফেলা হচ্ছে। তাদের খুঁজে বের করা হোক।
ইদ্রিশের ওই মন্তব্য নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অস্বস্তি বেড়েছে। কারণ ব্লক সভাপতিরা লাখ লাখ টাকা নিয়ে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন। উপর থেকে পাঠানো নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে নিচুতলায়। ইদ্রিশের ওই অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, উনি কোন প্রেক্ষিতে কার বিরুদ্ধে ওইসব কথা বলেছেন তা জানি না। কিন্তু একটা কথা বলতে পারি এটা তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার নয়। এটা বিজেপির কালচার। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, তথাগত রায় নিজেই বলেছেন কামিনী কাঞ্চনের বিনিময়ে তাদের টিকিট বিলি হয়। উনি অর্থের বিনিময়ে পদ পাওয়ার কথা বলছেন। আমি একজন রাজ্যসভার সাংসদ। যেদিন নির্বাচন ছিল সেদিন আমি খুশি হয়ে বিধায়কদের লাঞ্চ করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দল আমাকে সেই অনুমতি দেয়নি। অর্থের বিনিময়ে কাউকে টিকিট দেওয়া বা পদ দেওয়া এটা তৃণমূলে হয় না।
অন্যদিকে, এনিয়ে মুখ খুলেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ওঁকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার কার হয়েছিল। তৃণণূল ওঁকে গ্রহণ করেছে। হয়তো কোনও ব্যাপারে ওঁর একটু রাগ হয়েছে। তাই এসব বলেছেন। এসব তৃণমূলে হয়েই থাকে। এসব কথা সবাই জানেন। একটা সত্যকে উনি কন্ঠস্বর দিয়েছেন মাত্র।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)