নিজস্ব প্রতিবেদন : অপসারণ করা হয়েছিল আগেই। এবার হাঁসথালি থানার ওসি অনিন্দ্য বোসের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল। পাশাপাশি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাসের দেহরক্ষী প্রভাস মণ্ডলের বিরুদ্ধেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে শনিবার একদিনের জন্য ছুটি নেন ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রভাস মণ্ডল। আর সেদিনই খুন হয়ে যান বিধায়ক। এই ঘটনায় আগেই দেহরক্ষী প্রভাস মণ্ডলকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল। অভিযোগ, ছুটির জন্য কোনও কোনওরকম অফিশিয়াল দরখাস্ত করেননি তিনি। মৌখিকভাবে জানিয়ে ছুটি নেন। বিধায়কের নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা না করেই শনিবার ছুটিতে চলে যান তিনি।


অন্যদিকে, খুনের ঘটনায় নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে রবিবার সকালেই হাঁসথালি থানার ওসির পদ থেকে সরানো হয় ওসি অনিন্দ্য বোসকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই ওসিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন, ফুচকা নিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি স্বামী! বিধায়ক খুনে বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল স্ত্রীর


স্থানীয় বাসিন্দা থেকে প্রত্যক্ষদর্শী সবাই অভিযোগ করেন, অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় গলদ ছিল। অনুষ্ঠানস্থলে পর্যাপ্ত পুলিস ছিল না। এলাকাবাসী জানিয়েছে, মাজদিয়া-ফুলবাড়ির ওই সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস সহ উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রত্না ঘোষ (কর)। কিন্তু, একজন মন্ত্রী বা বিধায়ক কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলে, যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার কথা, তার বিন্দুমাত্র ছিল না কাল। মন্ত্রী-বিধায়কের অনুষ্ঠানে কোনও পুলিস-ই ছিল না বলে দাবি করেছেন তাঁরা।


দেহরক্ষী মৌখিকভাবে জানিয়ে কীভাবে ছুটি পেলেন? কেন তাঁর বদলি বডিগার্ড দেওয়া হল না বিধায়ককে? থানার অদূরে নিরাপত্তাহীন বিধায়ক কীভাবে খুন হলেন? এসবের মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা? তদন্তে নেমে এইসব প্রশ্নের উত্তরই হাতড়ে বেড়াচ্ছেন গোয়েন্দারা।


আরও পড়ুন, খুলির ভিতর মেলেনি গুলি, ময়নাতদন্ত শেষে শেষকৃত্যের পথে বিধায়কের নশ্বর দেহ


প্রসঙ্গত, বিধায়ক সুশীল বিশ্বাসের মৃত্যুর পর উপনির্বাচন হয় ২০১৫ সালে। সেই উপনির্বাচনে জয়ী হন বিধায়ক সত্যজিত্‍ বিশ্বাস। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে ফের বিপুল ভোটে জয় পান তিনি। জনপ্রিয় বিধায়ক,দক্ষ সংগঠক হিসাবেই এলাকায় পরিচিতি গড়ে উঠেছিল সত্যজিত বিশ্বাসের। অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিধায়ক হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তিনি।