নিজস্ব প্রতিবেদন: সকালে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ ছিল বিধানসভায় সংযত বাক্যবিনিময় এবং আচরণ দেখানোর। কিন্তু এ দিনই নজিরবিহীন কাণ্ড ঘটল বিধানসভায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাজেট নিয়ে বক্তৃতা রাখছিলেন শাসক দলের মেমারির বিধায়ক নার্গিস বেগম। বিধায়ক বলতে শুরু করেন, “এখন যারা বলছে সবই...”। কথা শেষ হয়নি। এর মাঝেই তৃণমূলের অসীমা পাত্র বলে ওঠেন, এরা সব গালিগালাজ করছে...। বাধা দিয়ে শাসক দলের উপর একের পর এক তোপ দাগা শুরু করে দেন জামুরিয়ার সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খান। জাহানারাও বলতে থাকেন, যাদের যেমন সংস্কৃতি, তাদের তেমন ভাষা। বিধানসভায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষ বাকবিতণ্ডতায়। সে সময় কার্যত থামিয়েই পাল্টা জাহানারার উদ্দেশে নার্গিস বলেন, “তোমার ধর্ষণ হবে...।”


আরও পড়ুন- বৈধ কাগজ না থাকায় মিলছে না ক্ষতিপূরণ, আইনি জটিলতায় বিপাকে বুলবুল বিপর্যস্ত ৫ লক্ষ কৃষক


নার্গিসের এই মন্তব্য শুনে কার্যত হতবাক্ শাসক-বিরোধী দুই পক্ষ। রে-রে করে ওঠেন বিরোধীরা। নার্গিসের এই মন্তব্যের সমালোচনা করে শাসক দলও। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও সমালোচনায় মুখর হন। এই মন্তব্য কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা। নার্গিসের এই মন্তব্যে জাহানারা কার্যত কেঁদে ফেলেন। অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে নালিশ জানিয়ে আসেন তিনি। নার্গিস বেগমের সাফাই, এমন কথা বলতে চাইনি। ধর্ষণের বিষয়টি পরে আলোচনা হবে, এটাই বলতে চেয়েছিলাম। ‘স্লিপ অব টাং’ বলে দাবি করেন তৃণমূল বিধায়ক।