Bankura: তৃণমূল হাত তুললে বিজেপি কর্মীদের হাসপাতাল ছাড়া জায়গা হবে না, হুঁশিয়ারি দলের বিধায়কের
সভা শেষে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী বলেন, সুকান্তবাবুকে সংযত হওয়ার জন্য সতর্ক করা হল। আপনি নিজে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে কর্মীদের লেলিয়ে দিচ্ছেন। বাংলায় অশান্তি হলে আপনাদের দেখা পাওয়া যাবে না
মৃত্যুঞ্জয় দাস: প্রকাশ্য সভা থেকে হুঁশিয়ারি বিজেপিকে। কেউ বললেন তৃণমূল কর্মীরা হাত তুললে বিজেপি কর্মীদের হাসপাতাল ছাড়া জায়গা হবে না। কেউ আবার একধাপ উপরে উঠে সাংসদের প্যান্ট খুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার ইন্দপুরের আড়ালডিহি গ্রামে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচির সভায় এই ভাষাতেই বিজেপিকে বেনজির আক্রমণ করতে শোনা গেল তৃণমূলের বিধায়ক থেকে স্থানীয় ব্লক সভাপতিকে। একে খুব বেশি পাত্তা দিতে রাজী নয় বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের কটাক্ষ, তৃণমূলের নেতারা কুরুচিকর মন্তব্য করে এখন দলে জায়গা পেতে চাইছেন।
আরও পড়ুন- সোমবার পেশ ২০২২-২৩ এর অর্থনৈতিক সমীক্ষা, জানুন এর ইতিহাস এবং গুরুত্ব
গত কয়েকদিন ধরে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়ে কখনও বিডিও আবার কখনও থানার পুলিস আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যাচ্ছে বাঁকুড়ার তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে। এবার ইন্দপুরের আড়ালডিহি গ্রামে দিদির সুরক্ষা কর্মসূচির একটি সভায় তিনি সরাসরি বেনজির আক্রমণ করে বসলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে।
তৃণমূল বিধায়ক বলেন, সুকান্ত মজুমদার বলে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলের লোকেরা দুয়ারে গেলে তাদের বেঁধে রাখতে হবে। সুকান্তবাবু মানুষকে উস্কানি দিচ্ছেন, বাংলায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। আপনি জেনে রাখুন তৃণমূল কর্মীরা যেদিন হাত তুলবে সেদিন আপনাদের হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও যাবার জায়গা হবে না।
উল্লেখ্য, রাজ্যজুড়েই বিভিন্ন জায়গায় দিদির দূতদের বেঁধে রাখার নিদান দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। এমনও বলা হচ্ছে দিদির দূতরা গ্রামে গেল দুদিন গাছে বেঁধে রাখুন। জল পর্যন্ত দেবেন না। এনিয়ে উত্তাপ বাড়ছিল তৃণমূল শিবিরে।
বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীর পর বক্তব্য রাখতে উঠে ওই সভামঞ্চেই তৃণমূলের ইন্দপুর ব্লকের সভাপতি রেজাউল খাঁ নিশানা করেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারকে। তিনি বলেন, সুভাষ সরকার বিভিন্ন সভায় গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বেঁধে রাখার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। আমরা বলছি, আপনি যদি কোথাও যান সেখানের জনগণ আপনার প্যান্ট খুলে নেবে।
সভা শেষে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী বলেন, সুকান্তবাবুকে সংযত হওয়ার জন্য সতর্ক করা হল। আপনি নিজে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে কর্মীদের লেলিয়ে দিচ্ছেন। বাংলায় অশান্তি হলে আপনাদের দেখা পাওয়া যাবে না। রাজ্য সরকারকেই তা সামলাতে হবে।
তালডাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী ও তৃণমূলের ইন্দপুর ব্লকের সভাপতি রেজাউল খাঁ-র ওই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি কুরুচিকর মন্তব্য করা তৃণমূলের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। একজন নির্বাচিত সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রতি এমন কুরুচিকর মন্তব্য করা চূড়ান্ত অসাংবিধানিক।