Zakir Hossain: বাড়ি-অফিসে নগদ ১১ কোটি! তৃণমূল বিধায়ককে তলব আয়কর দফতরের
একসময়ে রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। `আমাকে বদনাম করার জন্য ডাকা হচ্ছে`, দাবি তৃণমূল বিধায়কের। কলকাতায় আয়কর দফতরের নজরে শাসকদলের এক কাউন্সিলরও।
বিক্রম দাস: অফিস থেকে বাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ ১১ কোটি টাকা! তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনকে এবার তলব করল আয়কর দফতর। কবে? আগামী সোমবার। এমনকী, সঙ্গে করে আনতে বলা হল আয়-ব্যয়ের হিসাব ও আয়কর সংক্রান্ত নথিও।
একসময়ে রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। এখন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন। গতকাল, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদে তাঁর বাড়ি, বিড়ি কারখানা ও চালকলে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। কেন? ১৫ ঘণ্টার ধরে চলে তল্লাশি।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, জাকিরের উপস্থিতিতে তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ ২ কোটি টাকা। কারখানা ও চালকলে পাওয়া যায় আরও ৯ কোটি টাকা! এত টাকা কোথা থেকে এল? তৃণমূল বিধায়কের দাবি, 'আমি কোন ক্রিমিনাল নই। ব্যবসা করি। বিড়ি কারখানা শ্রমিকদের প্রতি সপ্তাহে নগদে বেতন দিতে হয়। চালকলের জন্য ধানও কিনতে হয় নগদে। সেকারণেই নগদ টাকা রাখতে হয়'। তাহলে কেন তলব? সূত্রের খবর, তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনে জবাবে সন্তুষ্ট নন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: Gangasagar: গঙ্গাসাগরে সরকারি শংসাপত্র হাতে ঘুরছেন রবীন্দ্রনাথ!
এদিকে আয়কর তলবের পর জাকির হোসেন বলেন, 'আইনের আইনের পথে চলবে। আমাদের চালান দেখেছে, অ্য়াকাউন্ট দেখেছেন। খাতাপত্তর ঠিক আছে। আমরা সবসময়ই সহযোগিতা করতে চাই। আমাকে বদনাম করার জন্য ডাকা হচ্ছে'।
স্রেফ দলের বিধায়ক নয়, আয়কর দফতরের নজরে কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সলর আমিরুদ্দিন ববির। আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোডে কাউন্সিলরের হোটেলেও তল্লাশি চালানো হয়েছে।