নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ পূর্ব নির্ধারিতই ছিল। দিল্লি যাওয়ার আগে এবার একসঙ্গে ৭টি হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। তমলুকের তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়ল আরও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাঁথির অধিকারী বাড়ির দুই ছেলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ও সৌমেন্দু ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে (BJP)। এবার কি দিব্যেন্দুর পালা? বাজেট অধিবেশনের আগে লোকসভার স্পিকারের কাছে আলাদাভাবে দেখা করতে সময় চেয়েছিলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ। Zee ২৪ ঘণ্টাকে তিনি জানিয়েছিলেন,  '১০ ফ্রেরুয়ারি দুপুরে সময় দিয়েছেন স্পিকার। জল্পনার কিছু নেই। আমি এখনও তৃণমূলেই আছি'। তবে মুখে যাই বলুন না কেন, ঘটনাপ্রবাহ কিন্তু অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, বুধবার দিল্লি যাওয়ার কথা দিব্যেন্দু-র। তার আগে মঙ্গলবার রাতে একসঙ্গে ৭টি সরকারি হাসপাতালে রোগীর কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। সাংসদ হওয়ার সুবাদে ওই প্রশাসনিক পদে ছিলেন শিশির অধিকারীর ছেলে।


আরও পড়ুন: Rath Yatra-র অনুমতি নিতে হবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে, BJP-কে জানিয়ে দিল Nabanna


প্রসঙ্গত, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দল ছাড়ার পর অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) সম্পর্কের সমীকরণ বদলে গিয়েছে। পুর ও নগরোয়ন্নন দপ্তর থেকে নির্দেশিকা জারি করে কাঁথির পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সৌমেন্দু অধিকারীকে। এমনকী, দিঘা -শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (DSDA) চেয়ারম্যান ও দলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতির পদ খুঁইয়েছেন প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীও (Sisir Adhikari)। দাদার শুভেন্দুর হাত ধরে ইতিমধ্যেই বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন সৌমেন্দু। দলবদল না করলেও, তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ গোপন করেননি অধিকারী পরিবারের কর্তা শিশির ও তাঁর সাংসদ পুত্র দিব্যেন্দু। 


আরও পড়ুন: এক নেতা বন সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতি করেছে, নির্বাচন ঘোষণা হলেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে: মমতা


চলতি মাসে ৭ তারিখ এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হলদিয়ায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা শিশির অধিকারীর। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে যখন হলদিয়ায় অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করতে আসেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan), তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাংলার গর্ব! বস্তুত, গত বছরের নভেম্বরে দলের প্রতীক ছাড়া সভা করা কেন্দ্র করেই শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিয়ে জল্পনার সূত্রপাত। এরপর ধাপে ধাপে সরকারি পদ, মন্ত্রিত্ব, বিধায়ক ও তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য় থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ভাই দিব্যেন্দুও কি সেই পথে হাঁটবেন? এখন সেটার দেখার।