নিজস্ব প্রতিবেদন: কলেজের সাধারণ সভায় জিএসকে না ডাকায় জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজে বিক্ষোভ দেখাল টিএমসিপি। তৃণমূল সাংসদ বিজয় বর্মনই দলীয় ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন। তাঁকে কলেজের ভিতরে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলেজের জেনারেল বডির মিটিংয়ে বৈঠকে জিএসকে ডাকা হয়নি। কলেজের দরজায় আটকে গেলেন খোদ তৃণমূলের সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন। বিরক্ত সাংসদ জানালেন, রাজ্য নেতাদের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।


বেলা ১২টা থেকে কলেজের গেট আটকে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। নেতৃত্বে ছিলেন জি এস দেবজিত্ সরকার ও তাঁর অনুগামী রা। বেলা ২টা নাগাদ কলেজে আসেন সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন। তাঁকে শুনতে হয় 'গো ব্যাক' স্লোগান। বন্ধ করে দেওয়া হয় কলেজের গেট। সঙ্গে কটূক্তি। ছুটে আসেন 


কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রেজ্জাক মহাশয় ও অধ্যাপকরা। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভের পর কলেজের পক্ষ থেকে জানান হয়, জিবি মিটিং বাতিল। এর পর গেট খুলে দেওয়া হয়। অধ্যক্ষের ঘরে দলীয় ছাত্র নেতাদের বক্তব্য শোনেন সাংসদ। সেখানেও বাক্-বিতণ্ডা হয়। জিএস বাইরে বেরিয়ে বলেন, ''আমি সাংসদের লবি করি না। আমি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের অনুগামী। তাই আজ এই বৈঠকে আমায় ডাকা হয়নি।''


আরও পড়ুন- বাজেট অধিবেশনে দলীয় বিধায়কদের হাজিরা বাধ্যতামূলক, নির্দেশ তৃণমূলের


তিনি আরও বলেন, ''৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৪০০০ ছাত্রের কাছ থেকে ৩০০টাকা করে টি শার্টের জন্য নেওয়া হয়। টি-শার্ট পিছু খরচ হয়েছে ১৮০ টাকা। বাকি ৪ লক্ষেরও বেশি টাকা নয়ছয় হয়েছে।'' টি-শার্ট দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে অধ্যাপক আবদুর রজ্জাকের বক্তব্য, জিএস থার্ড ইয়ার পাস আউট। তাই নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে ডাকা হয় নি। সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মণ বলেন, ''জিএস-কে  ডাকা হয়নি বলে ছাত্রছাত্রী দের অভিমান হয়েছে। এটা মিটে যাবে। তবে আজকের ঘটনা নিয়ে জেলায় আলোচনার পর রাজ্য নেতাদের জানানো হবে।''