নিজস্ব প্রতিবেদন : "সমস্ত সর্বনাশের মূল হচ্ছে পিকে। দলের সর্বনাশ করছে পিকে-র টিম। আজকে পশ্চিমবঙ্গে যদি কোনও ক্ষতি হয় তৃণমূলের, পিকে-ই তার জন্য দায়ি হবে। দায় নিয়ে হবে পিকে-কে।" বিস্ফোরক মন্তব্য মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখের। আজ  বহরমপুরের কাঁটাবাগানে এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন বিধায়ক নিয়ামত শেখ। সেখানেই তাঁর মন্তব্যে বেআব্রু হয়ে পড়ে পিকে ও জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তির্যক ভাষায় কড়া আক্রমণ হেনে তিনি বলেন, "এত বড় বড় রাজনৈতিক বীর থাকতে, আজকে পিকের কাছে আমাদের রাজনীতি শিখতে হবে? পিকে কী রাজনৈতিক নেতা? তৃণমূল কংগ্রেসের কোন দায়িত্বে রয়েছেন? তিনি কি রাজ্যের কোনও নেতা? আমরা জানি না এখনও। পিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, আমি মেনে নিলাম। কিন্তু দলের কোন নেতা কোন পর্যায়ে আছেন? আজকে আমাদেরকে ব্যবহার করছে। কোথা থেকে এই সিস্টেম আসল? পিকে-কে কারা ব্যবহার করছে, আমি জানি না।"


কোনও শাসক-বিরোধী কোন্দল নয়। বিরোধী দলের বক্তব্যও নয়। খোদ শাসকদলের বিধায়কের বক্তব্যেই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার দলের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন নিয়ামত শেখ। এদিনও সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমে জেলা সভাপতি আবু তাহের খানের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। বলেন,"আগে কোনও সমস্যা হলে সমাধানের পথ খুঁজে দিত জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু বর্তমানে যিনি জেলার সভাপতি হয়েছেন, তাঁকে দিয়ে দলের কোনও কাজ করানো যায় না। কেন করতে পারছেন না, তা আমার জানা নেই।" 


এদিন দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন জেলা সভাপতি নিজেও। বিধায়কের মন্তব্য খানিকটা বিব্রত বোধ করতেও দেখা যায় তাঁকে। যদিও পরে এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, "নিয়ামত শেখের বয়স হয়েছে। তাই তিনি এধরনের কথা বলেছেন। তিনি ডিজিটাল রাজনীতি বোঝেন না। পিকে-কে আমাদের দরকার।" একদিকে সাম্প্রতিক কালে শুভেন্দু অধিকারীর মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে দলের অন্দরে যখন একাধিক গুঞ্জন, ঠিক সেইসময়ই খোদ শাসকদলের বিধায়কের নিজের দল সম্পর্কে এধরনের মন্তব্য বিড়াম্বনা বাড়িয়েছে জেলা তৃণমূল শিবিরে। 


প্রসঙ্গত, একদিকে পিকের টিমের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেও, পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর পাশে থাকার বার্তা দেন বিধায়ক নিয়ামত শেখ। আর তাতেই আরও জোরালো হয়েছে জল্পনা। উস্কে উঠেছে বিতর্ক। বলে রাখি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তৃণমূল ব্লক সভাপতিদের তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। ফলত রাজনৈতিক মহলে উত্তাপ ও উত্তেজনা বাড়ছে। শিবির বিভাজন বিতর্ককে কেন্দ্র করে উত্তেজনার চোরাস্রোত বইছে মুর্শিদাবাদ জেলাতেও। কোন দিকে জল গড়াচ্ছে, তা নজরে রয়েছে সব পক্ষেরই।


আরও পড়ুুুন, স্থানীয় নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা স্ত্রীর, অপমানে আত্মঘাতী স্বামী, জোর চাঞ্চল্য সাঁইথিয়ায়