নিজস্ব প্রতিবেদন:  হালিসহরের পর এবার কাঁচরাপাড়া। এবার কাঁচরাপাড়া পুরসভায় ‘ঘর ওয়াপসি’ তৃণমূলের। দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া ১২ জন কাউন্সিলর ফের তৃণমূলে ফিরছেন। জল্পনার মধ্যে তিনি তৃণমূলে ফিরছেন না বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান সুদামা রায়।  স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছেএবার কি তবে কাঁচরাপাড়া পুরসভা পুনর্দখলের পথে তৃণমূল? তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নির্বাচনের পর বিজেপিতে যোগ দেওয়া ১৭ জনের মধ্যে ১২ জন ফের তৃণমূলে ফিরছেন বলে দাবি করেন যুব সভাপতি সুজিত বসুর। তা ঘটলে  কাঁচরাপাড়া পুরসভার বোর্ড ফের পুনর্দখল করবে তৃণমূল।  কাঁচরাপাড়া পুরসভায় মোট আসন ২৪। তার মধ্যে একজন সিপিএম ও একজন নির্দল কাউন্সিলর, বাকি ২২ জন তৃণমূলের। সেই ২২ জনের মধ্যে শুভ্রাংশু রায়ের সঙ্গে দিল্লি যান ১৭ জন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন চেয়ারম্যান সুদামা রায়ও। তারপরই কাঁচরাপাড়া পুরবোর্ড ঘিরে আশঙ্কা দানা বাঁধে। এবার ১২ জন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিলে, ফের তৃণমূলের হাতেই চলে আসবে কাঁচরাপাড়া পুরসভা।


যদিও জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধিকে কাঁচরাপাড়ার চেয়ারম্যান সুদামা রায় জানিয়েছেন, তিনি বিজেপিতে ছিলেন, বিজেপিতেই থাকবেন।  এসবের মাঝে আবার এলাকার বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় দাবি করেন, “যাঁরা হালিসহর পুরসভা থেকে ফেরত এসেছেন, তাঁদের মধ্যে ৫ জন আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ” তিনি পাল্টা বলেন, “সার্কাস চলছে, উপভোগ করছি।” নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর কোন কাউন্সিলর কোন দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, সেটাই হালিসহর ও কাঁচরাপাড়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।


“সিঙ্গুরে চাষের পরিমাণ কেন কমেছে, আমি কী করে বলব!” বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী


হালিসহরে মঙ্গলবার অগ্নিপরীক্ষা। কড়া নিরাপত্তার মোড়কে পুরসভা। কাউন্সিলররা রাতভর মঙ্গলদ্বীপ রয়েছেন। পুরসভায় কড়া নিরাপত্তা। RAF,  পুলিশে ছয়লাপ এলাকা।   বুধবার হালিসহর পুরসভায় অনাস্থা আনতে পারে বিজেপি। মুকুল রায় ও অর্জুন সিংয়ের দাবি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। যদিও স্থানীয় স্তরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে কোনও তত্পরতা দেখা যায়নি।


অর্জুন সিং দাবি করেছেন,  “চেয়ারম্যান ফের তৃণমূলে যোগ দিলেও, হালিসহর পুরসভা বিজেপির ছিল, বিজেপিই থাকবে। সেক্ষেত্রে বিজেপির অনাস্থা আনার জোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ”


‘নো কনফিডেন্স’  আজকের মধ্যেজমা পড়ে যাবে বলে জানিয়ে দেন অর্জুন সিং। পাশাপাশি তিনি চ্যালেঞ্জ করেন, নো কনফিডেন্স জমা পড়লেই ফের ভোটাভুটি হবে, তখন ফের বিজেপিই ফের ক্ষমতায় আসবে। নতুন চেয়ারম্যান হবে। পুরনো চেয়ারম্যানের ওপর তাঁর আগে থেকেই বিশ্বাস ছিল না বলেও জানান অর্জুন সিং।


রাজ্য সরকারি চাকরিতে প্রায় ৩৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ, বিধানসভায় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


প্রসঙ্গত, বিধাননগর পুরনিগম টানাপোড়েনের মধ্যেই হালিসহর পুরসভার পুনর্দখল করে তৃণমূল। দলে ফেরেন হালিসহর পুরসভার  কাউন্সিলররা। চেয়ারম্যান-সহ ফের তৃণমূলে ফিরলেন ৮ কাউন্সিলর। বিধানসভায় দাবি করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। চেয়ারম্যান-সহ তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা হল ১২।