শাহের `পাশে দাঁড়িয়েই` আজ বীরভূমে তৃণমূলের পালটা জবাবি সভা!
আজকের সভায় অমিত শাহের সভার থেকেও বেশি লোক আনার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের। বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক আনছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রসেনজিত্ মালাকার: বীরভূমের সিউড়িতে আজ অমিত শাহের পালটা সভা তৃণমূলের। বীরভূমের সিউড়ির কলোনি মাঠে সভার আয়োজন করা হয়েছে। একেবারে সিউড়ি বেণীমাধব মাঠ, যেখানে অমিত শাহ সভা করেছিলেন, তার পাশের মাঠ-ই কলোনি মাঠ। আজ এই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সহ তৃণমূলের বীরভূম জেলা নেতৃত্ব।
এই সভাকে ঘিরে প্রস্তুতি চরমে। ইতিমধ্যেই দলীয় পতাকা, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যানার-ফেস্টুনে ঘিরে ফেলা হয়েছে শহর। আজকের সভায় অমিত শাহের সভার থেকেও বেশি লোক আনার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের। বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক আনছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কেষ্টহীন বীরভূমে দাঁড়িয়ে অমিত শাহের লোকসভায় ৩৫ আসন জয়ের টার্গেট বেঁধে দেওয়ার পর, আজ তৃণমূল কংগ্রেস কী বার্তা দেয় সেটাই দেখার।
শুক্রবার বীরভূমের জনসভা থেকে সরাসরি তৃণমূল সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সিউড়ির মঞ্চ থেকে কেষ্টহীন বীরভূমে হিন্দুত্বের অস্ত্রে এগিয়ে চলার মন্ত্র দেন শাহ। শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অমিত শাহ দাবি করেন, 'লোকসভা ভোটে বিজেপিকে বেশি ভোট দিন। তাহলে ২৫-এর আগেই দিদির সরকার পড়ে যাবে। ২৪-এ ৩৫ সিট দিন। ২৪-এর আগেই মমতা সরকার পড়ে যাবে। বাংলায় বিজেপি এলে আর রামনবমীর মিছিলের ওপর হামলা হবে না। রিষড়া, হাওড়ায় হামলা হল। রামনবমীর মিছিল বাংলায় বেরোনো উচিত না উচিত নয়? তুষ্টিকরণের রাজনীতির জন্যই এত সাহস হল।'
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, 'দিদি ভাতিজার অন্যায়ের বিরুদ্ধে একমাত্র রাস্তা বিজেপি। মমতার লক্ষ্য কেবল অভিষেককে মুখ্যমন্ত্রী করা। এনআইএ বীরভূমে প্রচুর ডিটোনেটর উদ্ধার করেছে। বাংলার গরিব মানুষের টাকায় বাংলো বানাচ্ছে! মোদী যে চাল পাঠায়, দিদি তার ওপর ফটো লাগিয়ে দেয়! মমতা চান না আয়ুষ্মান ভারত চালু হোক।' অমিত শাহের তীব্র আক্রমণের পরই বাংলার বকেয়ার দাবিতে ফের সরব হন অভিষেক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক, 'অমিত শাহ বাংলার বকেয়া সব টাকা মিটিয়ে দিন, আমি এখনই রাজনীতি ছেড়ে দেব!'
কড়া ভাষায় টুইট করেছেন অভিষেক। লিখেছেন, 'অমিত শাহ আপনি আমার কাল্পনিক অসুখ নিয়ে কথা বললেন। কিন্তু বিজেপি বাংলায় যেভাবে ক্ষতি করেছে, সেই ব্যাপারে কোনও কথা বলার প্রয়োজনীয়তা আপনি বোধ করেননি। একটা শব্দও খরচ করলেন না। তবে আমার অস্তিত্ব যদি আপনাকে এতটাই যন্ত্রণা দেয়, তাহলে এখনই আমার রাজ্যের বকেয়া দেড় লাখ কোটি মিটিয়ে দিন, কথা দিচ্ছি আমি নিজেকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে নেব।'
আরও পড়ুন, Gangstar Atiq Ahmed Encounter: ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড! উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতির শাসন জারির দাবি কুণালের
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)