`...নাহি দেব সূচাগ্র মেদিনী`, ঝাড়গ্রামে ৮ ব্লকে ৫ সভাপতি বদল তৃণমূলের
ঝাড়গ্রামের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ঝাড়গ্রামে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। পঞ্চায়েতে আশানুরূপ ফল না হওয়ার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ঝাড়গ্রামে বিজেপি যাতে কোনওভাবেই দাঁত ফোটাতে না পারে সেজন্য চূড়ান্ত তত্পর শাসক দল। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এদিন ঝাড়গ্রামের দায়িত্বে ব্যাপক রদবদল করা হল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেই ঝাড়গ্রাম প্রসঙ্গে অতি সক্রিয় তৃণমূল। ঝাড়গ্রামের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঝাড়গ্রাম পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। বারবার ঝাড়গ্রাম যান তৃণমূল মহাসচিব। সফরের পর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেন তিনি। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতেই সোমবার কালীঘাটে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রিপোর্ট অনুসারে গলদ খতিয়ে দেখে ঝাড়গ্রামের ৮টি ব্লকের ৫টিতে সভাপতি বদল করল তৃণমূল। জামবনি ব্লকের নতুন সভাপতি হলেন নিশীথ মাহাত। সাঁকরাইল ব্লকের নতুন সভাপতি হলেন সোমনাথ মহাপাত্র। লালগড়ের বিনপুর ১ নম্বর ব্লকের নতুন সভাপতি হলেন চিন্ময় মাহাত। লালগড়ের বিনপুর ২ নম্বর ব্লকের নতুন সভাপতি হলেন শ্যামল মাহাত। ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ ব্লকের সভাপতি হলেন রবীন্দ্রনাথ মাহাত। আর বেলপাহাড়ি ব্লকের সভাপতি হলেন বুবাই মাহাত।
আরও পড়ুন, গৌরবের রিপোর্ট পেয়েই রাজ্য নেতৃত্বকে তলব রাহুলের
খারাপ ফলের জন্য তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বকুনি খান গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামনি মাহাত এবং নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু। প্রসঙ্গত ঝাড়গ্রামে পঞ্চায়েতে খারাপ ফলের জেরে আগেই মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন চূড়ামনি। বর্তমানে ঝাড়গ্রামের তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। তাঁর সঙ্গেই জেলার রাজনীতিক কাজকর্ম দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় সোমেন মহাপাত্র ও মানস ভুঁইঞাকেও। পাশাপাশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীকেও লালগড়ের খুঁটিনাটি দেখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন, লোকসভায় ৪২-এ ৪২, বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই, পুরুলিয়ায় অমিতের সভাস্থলেই হুঙ্কার
সবমিলিয়ে একথা পরিষ্কার লোকসভা ভোটের আগে ঝাড়গ্রামকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। সাংগঠনিকভাবে ঝাড়গ্রামকে নতুন মডেল হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে শাসকদল। লোকসভা ভোটে যাতে জঙ্গলমহলের এক ইঞ্চি জমিতেও দাঁত ফোটানোর জায়গা না পায় বিজেপি, তা নিশ্চিত করতেই আজকের এই রদবদল।