নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশে জুলাইয়ে মমতার বক্তব্যকে টেনে এনে তাঁকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। করোনা নিয়ে ব্যর্থতা ঢাকতেই মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যাচার বলে উল্লেখ করেন সিপিএম নেতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহম্মদ সেলিম বলেন


# একুশে জুলাইয়ের ঘটনাটিকেই মিথ্যে হিসেবে সাজানো হয়েছিল। তারপরে তিনি সেটিকে মিথ তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। সেই মিথ এখন ভাঙছে।  মিথ্যের রাজনীতি করে যাচ্ছেন মমতা। এবার ভার্চুয়াল সভা করে ফের একবার মিথ্যে বললেন।


আরও পড়ুন-'এটাই শেষ; এরপর একুশে জুলাইয়ে সভা হবে কালীঘাটেই
 
#  উনি বললেন হাসপাতালে বেডের কোনও অভাব নেই। অথচ আজও বেডের অভাবে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিত্সক, নার্সরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু চিকিত্সা দেওয়ার জন্য যে পরিকাঠোর প্রয়োজন ছিল তা নেই। যেটুকু ছিল তাও নষ্ট করে ফেলেছেন।


#  আমরা প্রথম থেকে বলেছি টেস্ট করতে হবে। টেস্ট বাড়ানোর কথা। এখন টেস্ট কমিয়ে রোগী সংখ্যাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।


#  করোনার আবহে আমরা বলেছিলাম মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তা করেনি রাজ্য সরকার। বরং রেশনের খাদ্ সামগ্রী চুরি হয়েছে।  খাদ্য দফতরের আধিকারিকে বদল করতে হয়েছে। আর উনি মিথ্য বলে দিলেন, দশ কোটি মানুষকে রেশন দেওয়া হয়েছে।


#  কর্মসংস্থান নিয়েও মিথ্যে বলেছেন মমতা। রেলমন্ত্রী থাককালে উনি বলেছিলেন, রেল চাকরি দেব। মিথ্যে ফরম ফিলআপ করিয়েছিলেন। তৃণমূলের ছেলেমেয়েদের উনি ঠকিয়েছিলেন। পরে বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী না হলে কি আর চাকরি দেওয়া যায়! উনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও মানুষ ৯ বছর দেখেছে। বিভিন্ন পরীক্ষায় যারা সফল হয়েছিল তাদের চাকরি হয়নি। সর্বত্র নিয়োগ বন্ধ। এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমেছে। উনি বলছেন কর্ম সংস্থানে দেশের গড়ের থেকে রাজ্যের অবস্থা ভালো। এরকম মিথ্যচারী মুখ্যমন্ত্রী এরাজে কেন কোনও রাজ্যেই কেউ দেখেনি।


#  এখন বলছেন বিজেপি অবিশ্বাসের পার্টি। উনিই তো ক্ষমতার লোভে দুধকলা দিয়ে বিজেপিকে এনেছেন। মুকুল রায় এখন কোথায়? এখন তো তৃণমূলের লোকেরাই বিজেপির কাছে ভিড় করছে।। আর তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা অসহায় হয়ে লালঝান্ডা তুলে নিয়েছেন।


#  আমফান কিংবা বন‍্যাতে তৃণমূল কোথায়?বামপন্থীরাই রাস্তায় থেকেছে। অমিত শাহ এর সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে সেটিং করছেন।


আরও পড়ুন-দুই ২৪ পরগনাসহ কলকাতায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা, জেনে নিন আপনার জেলার পরিস্থিতি


# দিল্লিতে মোদির লুঠ আর বাংলায় দিদির লুঠকে রুখে দিতে হবে।


# তৃণমূলে যারা ভুলবশত চলে গেছেন বা আমাদের ভুল বুঝে চলে গেছেন তাদের বলব আসুন আমরা রাজ‍্যটাকে বাঁচাই। মমতা দিদির সৌজন‍্যে রাজ‍্যটাকে বিজেপির হাতে তুলে দিতে পারিনা।


#  আমাদের শিল্প চাই, আমাদের চাই কাজ। কৃষিকে বাঁচাতে হবে।আমাদের জমিকে বাঁচাতে হবে । জমিহাঙরদের হাতে জমি দেওয়া যাবেনা।