নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন ফেরাতে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নবান্নকে বার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমন বার্তার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে তৃণমূল। তারা বিবৃতি দিয়ে জানাল, উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে সংঘর্ষের খবর। গতকাল হাটগাছিতে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষের মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মৃতদের মধ্যে দুজন বিজেপির। মৃত্যু হয়েছে তৃণমূলের এক কর্মীর। হাটগাছির ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগ করে বঙ্গ বিজেপি। রবিবার নবান্নে উপদেশ বার্তা পাঠাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাদের পরামর্শ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও শান্তি ফেরাতে সব ধরনের পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। কোনও অফিসারের কাজে গাফিলতি পাওয়া গেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।   



স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপদেশ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন,''বাংলা শান্তির মরুদ্যান। বাংলাকে অশান্ত করার জন্য অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক ও স্বেচ্ছাচারিতায় ভরা অ্যাডভাইজারি নোট পাঠাচ্ছেন। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সরকারকে অপমানিত করার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক চক্রান্তের জাল বুনে  বাংলার মানুষকে অপমানিত করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে যে শান্তির পরিবেশ আছে, তা গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশে নেই। বহু আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে পদদলিত করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই ধরনের চিঠি দিয়ে বিজেপি মনে করছে, আমাদের টলানো যাবে। আমরা ভয় পাই না''। 


গতকাল রাজ্যের প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে মুকুল রায় বলেছিলেন,''শুধু বসিরহাটেই নয়, গোটা রাজ্যে হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কারণে বসিরহাটে বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ঘটনার কথা জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। এলাকায় যাবে বিজেপির প্রতিনিধি দল''।


এদিন আবার বিজেপির নিহত দুই কর্মীর দেহ নিয়ে টানাপোড়েন চলে মালঞ্চ ও মিনাখাঁ মোড়ে। দুই কর্মীর দেহ কলকাতার নিমতলা শ্মশানে সত্কার করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই অনুমতি দেয় পুলিস। মালঞ্চ মোড়ে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পর শবদাহী গাড়ি নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে এগিয়ে চলেন বিজেপি কর্মীরা। এরপর মিনাখাঁয় রাস্তার মাঝে আড়াআড়ি গাড়ি রেখে দেয় পুলিস। সেখানেই রাস্তায় কাঠ ফেলে দেহ দাহ করার বন্দোবস্ত করেন বিজেপি কর্মীরা। প্রায় দেড়ঘণ্টার টানাপোড়েনের পর সন্দেশখালিতেই সত্কার করতে রাজি হয় বিজেপি। জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা জানান, আগামিকাল ১২ ঘণ্টার বসিরহাট মহকুমা বনধ পালন করবে বিজেপি। রাজ্যজুড়ে কালা দিবস পালন করব। ১২ জুন মহাধিক্কার মিছিল করা করবে। ওয়েলিংটন স্কোয়্যার থেকে লালবাজারে যাবে বিজেপি। হাজার হাজার মানুষকে ওই মিছিলে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।      


আরও পড়ুন- বিজেপির ৩ কর্মীর দেহ নেই, নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি করলেন মমতা, বিস্ফোরক মুকুল