কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে অধ্যাপককে মারধর। কিন্তু শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনা বাংলায় প্রথম, এমনটা কিন্তু নয়। আরাবুল থেকে শাসকদলের বহু নেতার বিরুদ্ধে কিন্তু শিক্ষক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে বুধবারের ঘটনায় যেভাবে শাসকদল প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব দেখিয়ে ক্ষমা চাইল তা নজর এড়াইনি কারও।    


শুধু ক্ষমা চাওয়াই নয়, অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ষাষ্ঠাঙ্গে প্রণাম করে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা শুভ। এমনটা রাজ্যে নজিরবিহীন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাস্টারমশাইকে ফোন করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। দিলেন পাশে থাকার আশ্বাস। জানালেন,'বিচার পাবেন স্যর'।


মুখ-চোখের ক্ষতের দাগ। রাতভর ঘুম হয়নি। অধ্যাপক সুব্রতবাবুর সহকর্মীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্লাস বয়কট করবেন। মাস্টারমশাই মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পাওয়ার পর রওনা দিলেন কলেজে। ঢোকার মুখেই এলাকার বিধায়ক ও জেলার সভাপতি হাত জোর করে দাঁড়িয়ে রইলেন। অবাক হলেন স্যর। শুধু তাই নয় দিলীপ যাদব বললেন,' আমাদের দলের নাম জড়িয়েছে স্যর। কোনও ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন।' বিধায়ক-সভাপতির পর এল সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের এসএমএস। লেখা 'আমি ক্ষমা প্রার্থী'। 


রাজ্যে অধ্যাপক নিগ্রহের পর মুখ্যমন্ত্রী থেকে সাংসদ-বিধায়কের এমন তত্পরতা দেখে প্রশ্ন উঠছে, এর সঙ্গে কি বিজেপির ১৮টি আসনপ্রাপ্তির যোগ কয়েছে? নিন্দুকরা বলছেন, মাস্টারমশাই প্রশান্ত কিশোরের টোটকায় ক্ষমা চাওয়াই এখন তৃণমূলের পরম ধর্ম!


আরও পড়ুন- 'মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ' না বলায় অধ্যাপককে মার, বুদ্ধিজীবীরা কোথায়? প্রশ্ন বিজেপির