নিজস্ব প্রতিবেদন: লেকটাউনের পর বর্ধমানেও বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দিলীপ ঘোষ। তাঁকে কালো পতাকা দেখালেন তৃণমূল সমর্থকরা। তবে ঘটনাকে আমল দিতে নারাজ দিলীপ ঘোষ।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার বর্ধমানের লায়ন্স ক্লাবে সাংগঠনিক সভা করতে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। যাওয়ার পথে তিনকোনিয়ার মোড়ে তাঁর কনভয় ঘিরে কালো পতাকা দেখায় তৃণমূল। চলে দিলীপ ঘোষ গো ব্যাক স্লোগানও। তবে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাকে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, হাতি রাস্তা দিয়ে চললে কুকুর চিৎকার করতে পারে। ইচ্ছে করলেই ওদের হাসপাতালের বেডে শুইয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু সেটা চাই না।



এদিন অসমে প্রকাশিত হয়েছে চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি। পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিকপঞ্জির দাবি করেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়,'এখানেও এনআরসি চালু করা হবে। বাংলাদেশ ও অন্য দেশ থেকে আসা বিদেশিরা এখানকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। সে কারণে পঞ্জিকরণ জরুরি।'


গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়িতে রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে 'চা চক্রে দিলীপ দা' কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি। সকালে নির্ধারিত সময়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এলাকায় ঢুকতেই তাঁকে ঘিরে শুরু হয় স্লোগান। ছিঁড়ে দেওয়া হয় বিজেপির পতাকা। পাল্টা স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরাও। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের। পরে দিলীপবাবু বলেছিলেন, 'সকালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে চা খাই। লেকটাউনে চা চক্রে গিয়েছিলাম। কয়েক শো লোক এসে হামলা করল। কর্মীদের মারধর করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় চেয়ার-টেবিল। ওখানকার লোকেরাই বলেছে, এরা স্থানীয় নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরে থেকে লোক আনা হয়েছে। আধ ঘণ্টা থেকে চলে এসেছি। ২৬ জন আহত।' 


আরও পড়ুন- দু'জনকে একই পদ দিতে নারাজ বিজেপি, ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ শোভন-বৈশাখীর