নিজস্ব প্রতিবেদন: বড়সড় ভাঙন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। দল ছাড়লেন সিপিএম, কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যরা। ফলে বিরোধীশূন্য মালিওর ২ নম্বর পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সিপিআইএম পরিচালিত মালিওর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তরিনা খাতুন,কংগ্রেস দলের উপ-প্রধান দিলীপ দাস ও কংগ্রেসের পঞ্চায়েতে সমিতির সদস্য গৌতম হালদার সহ মোট ৬ বিরোধী নেতা আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। ফলে বিরোধীশূন্য হল পঞ্চায়েতটি।


আরও পড়ুন-WB Flood: জল যন্ত্রণায় ২ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা, দেখতে গিয়ে হেনস্থার শিকার বিজেপি বিধায়ক  


মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট পঞ্চায়েত সদস্য সংখ্যা-৯। তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৪, কংগ্রেস ৩, সিপিআইএম ২। সিপিএম ও কংগ্রেস জোটবদ্ধ হয়ে পঞ্চায়েতটি দখল করেছিল। এবার তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করায় পঞ্চায়েত দখল করে নিল তৃণমূল। এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের দক্ষিণ তালসুর গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের  দলীয় কার্যালয়ে যোগদানকারীদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ হজরত আলী। মিথ্যা মামলা ও পুলিসের ভয় দেখিয়ে এই যোগদান বলে কটাক্ষ কংগ্রেসের।
 
হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লক সভাপতি মহম্মদ হজরত আলী বলেন, ‘‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যবাসী যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন,তাতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখেছেন। তাই  তৃণমূল কংগ্রেসে  যোগদান করেছেন৷ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের অন্তর্গত ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৮ টি তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ছিল। একমাত্র মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত সিপিআইএম  ও কংগ্রেস পরিচালিত ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধান,উপ প্রধান সহ মোট ছয়জন ও প্রায় পাঁচ শতাধিক সাধারণ কর্মী তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন।"


আরও পড়ুন-Covishield: পুরসভার ভাঁড়ার শূন্য! শুক্রবার কলকাতায় বন্ধ কোভিশিল্ডের ডোজ  


যোগদানকারী সিপিআইএম পঞ্চায়েত প্রধান তরিনা খাতুন বলেন "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উন্নয়নের কাজে সামিল হতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম ৷’’


কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল মাতিন বলেন,'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়াকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতে চাই। তাঁর হাত শক্ত করতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।'


যদিও কটাক্ষের সুরে জেলার প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক তথা এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক মুস্তাক আলম বলেন, পুলিস প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এই নির্লজ্জ সরকার একের পর এক পঞ্চায়েত দখল করছে। মালিওর ২ পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে প্রধান বামফ্রন্টের ছিল এবং আমরা কংগ্রেস সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু তৃণমূল পুলিস প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমাদের দলের এবং সিপিএমের সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান করাল। এর আগে একই ঘটনা সুলতান নগর এবং মালিওর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ঘটিয়েছে। ওরা তৃণমূলে গিয়ে যদি ভালো থাকতে পারে তাহলে থাকুক।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)