নিজস্ব প্রতিবেদন:  'আর কোনও কথা নাই, দিদি আসছে চলো ভাই'।  এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা সফল করতে কোমর বেঁধে নামার সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আগামীকাল থেকে জেলা জুড়ে শুরু হচ্ছে প্রচার। ৭ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করবেন মেদিনীপুর কলেজ মাঠে। সেই সভার আগে রবিবার খড়গপুরে প্রস্তুতি বৈঠক সেরে ফেললেন দলের সমস্ত বিধায়ক ও শীর্ষ নেতারা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, তৃণমূলের জমানায় রাজ্যের উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই প্রচার চালানো হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: তৃণমূলে একটাই পোস্ট, বাকি সবাই ল্যাম্পপোস্ট : অগ্নিমিত্রা; বসন্তের কোকিল : সুপ্রিয়া


নজরে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। শুভেন্দুর মন্ত্রিত্ব ত্যাগ দলের সংগঠন বা ভোট-প্রস্তুতিতে কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না তো? কেন্দ্রের বঞ্চনা ও রাজ্যের উন্নয়নকে তুলে ধরতে তৃণমূলকর্মীদের পথে নামার নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বসে নেই তিনি নিজেও। শুক্রবার কালীঘাটে নিজের বাড়িতে জরুরি বৈঠক করেন মমতা। সেই বৈঠকের পর জানা যায়, সংগঠনের হালহকিকৎ বুঝতে ফের জেলা সফরে যাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর প্রথম গন্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী 'খাসতালুক' পশ্চিম মেদিনীপুর। আগামী ৭ ডিসেম্বর তৃণমূলনেত্রীর সভা করবেন মেদিনীপুর কলেজ মাঠে। পশ্চিম মেদিনীপুর তো বটে, দলীয় সিদ্ধান্তে সেই জনসভা হাজির থাকবেন পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়করাও।


হাতে আর বেশি সময় নেই। জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাকে সফল করতে ঝাঁপিয়ে পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। খড়গপুরে রবিবার প্রস্তুতি বৈঠক করলেন তাঁরা। বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি-সহ অন্যন্য নেতা ও বিধায়করা। মমতার সভাকে সফল করাই শুধু নয়, ওই জনসভা থেকে জেলা জুড়ে নির্বাচনের প্রচারও শুরু করে দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন: এখনই খুলছে না কলেজ সঙ্গে সিলেবাসে কাটছাঁট, প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে


উল্লেখ্য়, এই মেদিনীপুর জেলারই ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী। এক সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের পর্যবেক্ষকও ছিলেন তিনি। বস্তুত, দলীয় পদ থেকে সরে যাওয়ার পরেও সাম্প্রতিককালে একাধিক অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে ওই জেলায় গিয়েছিলেন তিনি। আগামী ৭ তারিখ সেখানে জনসভা করবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই মেদিনীপুর কলেজ মাঠ শুভেন্দুর খাসতালুক হিসেবে পরিচিত।