নিজস্ব প্রতিবেদন : শাসকদলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত বর্ধমানের মঙ্গলকোট। ঝাঁটা হাতে মারমুখী তৃণমূলেরই প্রমীলা বাহিনীর বিক্ষোভে পিছু হঠলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় অশান্তির পিছনে দায়ি মন্ত্রী ও তাঁর সমর্থকরা। প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর পুলিসি হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দীর্ঘদিন ধরেই মঙ্গলকোটের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বুধবার রাতে কাশেমনগর ফুটবল ময়দানে বৈরাগ্যচাঁদের মেলায় অপূর্ব চৌধুরীর সমর্থক সাগর শেখকে মারধর করে সিদ্দিকুল্লা শিবিরের লোকজন। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিধায়ক শিবিরের এক সমর্থকের দোকানো ভাঙচুর চালানো হয়। মারধরও করা হয় পেঙা শেখ নামে ওই সমর্থককে।


এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই মেলা চত্বর ছিল থমথমে। বেলা বাড়তেই বোমাবাজি শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে। পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার সকাল থেকে দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজিতে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মঙ্গলকোটের চাকদা গ্রাম। আহতও হন বেশ কয়েকজন। এরপরই এদিন সকালে সিদ্দিকুল্লা এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয় মহিলা তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।


আরও পড়ুন, ১৮ কেজি মাংসের অর্ডার দিয়ে অভিনব প্রতারণা 'জওয়ানের'!  


গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে দু'পক্ষেরই মোট ৭ জনকে। ধৃতদের ২ জনকে পুলিসি হেফাজত ও ৫ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কাটোয়া মহকুমা আদালত।