নিজস্ব প্রতিবেদন : কাটমানি কাণ্ডে এবার এক তৃণমূল কর্মীর 'রহস্য মৃত্যু'। মৃতের নাম পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। বয়স ৫৫ বছর। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমান শহরের নীলপুরে। মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী। এদিন সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বড়নীলপুরের দক্ষিণ শক্তিপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এলাকার কয়েকজন তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়। আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। কাটমানি ফেরতের দাবি জানান। সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে না পেয়ে বাড়িতে তালা লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। কাটমানি ফেরতের দাবিতে লাগানো হয় পোস্টারও। পরিবারের দাবি, তারপর থেকেই পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আত্মীয় পরিজনদের। তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভবপর হয়নি। এরপর এদিন সকালে শ্রীরামপুর থেকে উদ্ধার হয় দেহ।


এই ঘটনায় পরিবার ও তৃণমূলের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে শাসকদল। গতকাল যাঁরা বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন, তাঁরা সবাই বিজেপি কর্মী ছিলেন বলে দল ও পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস৷ খুনের অভিযোগ আজ পরিবার ও দলের তরফে থানাতেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত পুলিস তিনজনকে আটক করেছে।


আরও পড়ুন, 'দিদি যদি ভাবেন, তিনি একাই সত্‍ তাহলে ভুল', কাটমানি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর


বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল উঠলেও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা বিজেপি। জেলা বিজেপির সভাপতি সন্দীপ নন্দী জানান, "বিজেপি এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে না। ওই এলাকায় বিজেপির তেমন কোনও সংগঠন নেই। বিজেপিকে বদনাম করা জন্যই এই অপপ্রচার করছে শাসকদল।" অন্যদিকে, নিহত ব্যক্তি কাটমানি কাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ দাবি করেছেন।