সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: রাত পোহালেই মহাযুদ্ধ। লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় সোমবার বঙ্গে ভোট বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর ও আসানসোল কেন্দ্রে। আর তার আগের রাতেই রক্ত ঝরল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৪৫ বছরের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মিন্টু শেখকে বোমা মেরে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ। কেতুগ্রামের আনখোনা গ্রামপঞ্চায়েতের চেঁচুড়ি গ্রামের এই ঘটনা। ঘটনার ভয়াবহতায় গোটা এলাকা আতঙ্কিত।স্বাভাবিক ভাবেই বিরাট চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে সেখানে। ঘটনাস্থলে রয়েছে কেতুগ্রাম থানার পুলিস। সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগে তীর উঠলেও স্থানীয় নেতৃত্ব তা অস্বীকার করেছে।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: তৃণমূলের কেউ সিএএ সমর্থন না করলেও আমি করব, ঘোষণা অভিষেকের, তবে দিলেন শর্ত


তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি রবিবার সন্ধ্যায় কেতুগ্রামের পাশের সুদিগ্রামে তৃণমূলের নির্বাচনী কাজে গিয়েছিল মিন্টু। বুথ অফিস সাজানোর কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বাড়ির কাছেই তাঁকে বোম মারা হয়। দুষ্কৃতীরা পরপর তিনটি বোমা ছোড়ে মিন্টুকে। এরপরেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে হেশুয়া দিয়ে কোপানো হয়। এরপরেই ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় মিন্টুর। এরপরেই দুষ্কৃতীরা অন্ধকারে গা ঢাকা দেয়।


চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গ্রামের লোক সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন সেখানে। বিরাট পুলিসবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। মিন্টুর দেহ পুলিস নিয়ে আসা হচ্ছে কেতুগ্রাম থানায়। সিপিএম অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে জানিয়েছে যে, এলাকায় ঘটনা ঘটেছে সেখানে তাদের কোনও সংগঠন নেই। না আছে কোনও বুথ অফিস।


সিপিএমের পাল্টা দাবি এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের পরিণাম। তৃণমূলের দাবি মিন্টু অত্য়ন্ত ভালো কর্মী ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন। মিন্টু যাতে ভোটের আয়োজন সুষ্ঠু ভাবে করতে না পারেন, সেই কারণেই ভোটের আগের রাতে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী খুন করেছে মিন্টুকে।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'আসলে আপনি চান ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মধ্যে দিয়ে তপসিলি সংরক্ষণ উঠে যাক', কাকে নিশানা মমতার


 



 (দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)